সুব্রত বিশ্বাস: একাধিক দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন (Local Trains) বাতিল। যেসব ট্রেন চলছে, তাতে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ। সপ্তাহের প্রথম দিন নিত্যযাত্রীরা নাকাল। আর সেই ক্ষোভের রেশ আছড়ে পড়ল রেল স্টেশনগুলিতে। সোমবার সকাল থেকে হাওড়া-বর্ধমান (Howrah-Burdwan) মেন লাইনের একাধিক স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে প্রতিবাদে নামলেন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। যার জেরে থমকে বহু ট্রেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে নাকাল হন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ।
ইন্টারলকিং সিস্টেমের কাজ চলাকালীন চলতি মাসের বেশ কয়েকদিন হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়েছিল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। বাতিল (Cancel) থাকবে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেনও। রবিবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। মাসের শেষ পর্যন্ত তা চলবে। এই সময়ের মধ্যেই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার, সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে ট্রেন ধরতে গিয়ে সেই অসুবিধার মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। তার প্রতিবাদেই হুগলির একাধিক স্টেশনে রেললাইনে নেমে শুরু হয় তাঁদের অবরোধ (Rail Block)।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে অভিষেক, তিন জেলার শ্রমিক সম্মেলনে দেবেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা]
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। পরপর হুগলির (Hooghly) খন্যান, তালাণ্ডু, পাণ্ডুয়ায় যথাক্রমে ৭.৪০,৭.৪৫ নাগাদ আটকে দেওয়া হয় ট্রেন। তাতে প্রচুর যাত্রী আটকে পড়েন। গন্তব্যে পৌঁছতে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন তাঁরা। দেড়, দু’ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন।
[আরও পড়ুন: লখনউয়ের অভিজাত হোটেলে বিধ্বংসী আগুন, একধিক আবাসিকের ঝলসে মৃত্যুর আশঙ্কা]
এনিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ”আগামী ১৪,১৫,১৬ তারিখ আরও বেশ কিছু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। এখনও পর্যন্ত ৪৮ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হওয়ার কথা। কারণ, সেসময় নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে পুরোদমে। সেসময় যাত্রীদের চাপ আরও বেশি করে বোঝা যাবে।” ট্রেন কমে যাওয়ায় কীভাবে যাত্রী চাপ সামলানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত খোদ রেলই।