সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালোচ বিদ্রোহের মাঝেই আরও বিপাকে পাকিস্তান। এবার তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের স্বকীয়তা নষ্ট করে দিতে বদ্ধপরিকর ইসলামাবাদ। সংবিধান হাতিয়ার করেই এই কাজ করতে চাইছে তারা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানের (Pakistan) সংবিধানে কিছু সংশোধনের আনার প্রস্তুতি করছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। সেই সংশোধন হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সরাসরি ইসলামাবাদের হাতে চলে যাবে। অর্থাৎ কার্যত পুতুলে পরিণত হবে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে ওই অঞ্চলের স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এটা কিছুতেই হতে দিতে রাজি নয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দশটি জেলাতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। ইসলামাবাদের এই অপশাসনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। রাওয়াল কোট, বাগ, পুঞ্চ, মুজফ্ফরাবাদ ও নিলম ভ্যালিতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হলে বিদ্যুতের বিলে ছাড়, কেজরির পথে হেঁটেই ঘোষণা ঋষি সুনাকের]
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মী শাবির চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সংবিধানে সংশোধন এনে অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সম্পদ হস্তগত করতে চাইছে পাকিস্তান। পাক সেনার মদতেই এই ‘নগ্ন আগ্রাসন’ ও ‘সাম্রাজ্যবাদী’ কার্যকলাপ চলছে। এর বিরুদ্ধে আম জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন শাবির। আর ইসলামের দোহাই দিয়েই এই সমস্ত কার্যকলাপ চালাচ্ছে পাকিস্তান।
এদিকে, পাকিস্তানের বিপদ বাড়াচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। বলে রাখা ভাল, পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৪ অগস্ট। কিন্তু তাতে অংশ নেন না বালোচরা। দেশের মাটিতে পাক সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্বাধীনতাপন্থী বালুচরা ১১ অগস্ট পালন করেন তাঁদের স্বাধীনতা দিবস। এবারও সেই প্রথায় ছেদ পড়েনি। গতকাল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বালোচরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির সেই দিনটিকে স্মরণ করেছেন। দাবি তুলেছেন, পাকিস্তান আর তার দোসর চিনের শোষণ থেকে মুক্তির। এই আন্দোলনের জেরে পাকিস্তানের শাসকদের উপর রীতিমতো চাপ বেড়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।