সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলে থেকেও পাকিস্তানে (Pakistan) ক্ষমতা দখলের পথে ইমরান খান? নির্বাচনের ফলপ্রকাশের শুরুতে সেরকম ইঙ্গিত মিললেও বেলা বাড়তেই পিছিয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। উলটে দাপট শুরু হয়েছিল আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগের। তবে শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছে ইমরানের দল পিটিআই।
ব্যাপক নাশকতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে পাকিস্তানে। অশান্তি এড়াতে দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। তার জেরেই ব্যাহত হয়েছে ভোট গণনার প্রক্রিয়া, এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সাংসদ ব্র্যাড শেরমান। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে পাকিস্তান যেন অহেতুক দেরি না করে। সংবাদমাধ্যমও যেন স্বচ্ছভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের স্বাধীনতা পায়।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে উদ্ধব শিবিরের নেতাকে গুলি করে খুন, আত্মঘাতী হামলাকারীও]
শুক্রবার ভোরবেলা ফল প্রকাশের ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তার পরেই দেখা যায়, একাধিক আসনে জিতেছেন পিটিআই প্রার্থীরা। দলের নেতা ওমর আয়ুব খান সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাই পরের সরকার গড়তে পারবেন। যদিও একজিট পোলে নওয়াজ শরিফের দলকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভোটগণনা শুরু হতেই দেখা যায়, দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। তাঁদের অধিকাংশকেই সমর্থন করেছে পিটিআই। তবে বেলা বাড়তেই একেবারে পালটে যায় ছবিটা।
ক্রমাগত হিংসার জেরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল একাধিক শিবিরের তরফে। সেই নিয়ে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। সীমান্তের প্রদেশগুলোতে লাগাতার হিংসা সত্ত্বেও নির্বাচন পিছোতে নারাজ ছিল কমিশন। কিন্তু পিটিআইয়ের দাবি, সন্ত্রাসের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ভোট দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।