স্টাফ রিপোর্টার: বেআইনি বিজ্ঞাপনে ঢাকা যাবে না শহরের মুখ। পুরসভার পুজো বৈঠকে কলকাতা পুলিশকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার দুর্গাপুজো জায়গা করে নিয়েছে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ তালিকায়। পুজোকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলতে পুজো কমিটিগুলোকে নানানভাবে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকারও। পুজোর বিজ্ঞাপনে কর ছাড় দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেই সুযোগে পুজোর দু’মাস আগেই শহরজুড়ে পুজোর ব্যানার।
তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নামেই পুজোর ব্যানার। কিছু ব্যানারে শুধুই বাণিজ্য়িক সংস্থার বিজ্ঞাপন। ছোট্ট এক কোণে পুজো কমিটির নাম। সোমবার পুরসভায় পুজো বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, প্রতিটি পুজোর নিজস্ব বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং থাকবে। তবে সে হোর্ডিং এত আগে নয়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাগাতে হবে। অনেক কোম্পানি কর ছাড়ের সুযোগে বেআইনি বিজ্ঞাপন লাগিয়ে দিচ্ছে শহরের যত্রতত্র। এতে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। সে বিজ্ঞাপন দ্রুত খুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: বইয়ের বাণিজ্যিকীকরণ! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী প্রকাশক দল, স্পেনে সফরে নয়া সম্ভাবনা]
মেয়র জানিয়েছেন, কোন পুজো কতটা এলাকাজুড়ে বিজ্ঞাপন লাগাবে তা জানাতে হবে। তাই বাইরে থাকা বিজ্ঞাপনকে বেআইনি হিসাবে খুলে দেওয়া হবে। মেয়রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, “বেআইনি বিজ্ঞাপন খুলতে আমরা আগেই চিঠি দিয়েছিলাম মেয়রকে।” শুধু বিজ্ঞাপন নয়। শহরের বড় পুজোর আশপাশে বেআইনি পার্কিং নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার পুরসভার পুজো বৈঠকে জানিয়েছেন, পুজোর সময় ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক বড় পুজোর আশপাশে বেআইনি পার্কিং গজিয়ে ওঠে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে রীতিমতো তোলাবাজি করা হয়। তা বন্ধ করতে হবে শীঘ্রই। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট, উত্তর কলকাতার চিৎপুর, রবীন্দ্র সরণিতে চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রাম। কিন্তু মৃত্যুফাঁদ হয়ে রয়েছে ট্রাম লাইন। ট্রাম লাইনের মাঝের রাস্তার অবস্থা এমনই দু’চাকার গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে অহরহ।
বৈঠকে পুরসভার সড়ক দপ্তরকে দ্রুত সেই রাস্তা মেরামত করতে বলেছেন মেয়র। এছাড়াও শহরের যে যে এলাকায় রাস্তা, ফুটপাথ খারাপ মহালয়ের আগেই তা সংস্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন কলকাতা পুরসভায় পুজো বৈঠকে হাজির ছিলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশ, প্রতিটি বরোর চেয়ারম্যান, সিইএসসি, দমকল, সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। বিশেষভাবে বেহালার রাস্তার দিকে নজর দিতে বলেছেন মেয়র। পুজো অক্টোবরের শেষে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবু ঝুঁকি নিতে রাজি নন মেয়র। বাজার এলাকায় গালিপিটগুলি বিশেষ করে পরিষ্কার করতে বলেছেন তিনি।