আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন সেলেবরা। কেউ শহরে, কেউ বাইরে। তারকাদের পুজো প্ল্যানিংয়ের কথা বলেছেন সোমনাথ লাহা।
প্রিয়াঙ্কা সরকার (অভিনেত্রী)
দুর্গাপুজোয় এবার কলকাতাতেই থাকছি। পুজোয় নানারকম ইভেন্ট, পুজো পরিক্রমা ও পুজো উদ্বোধনের কাজ থাকে। তবে সমস্ত কাজ সেরে নিয়ে দিনের শেষে আমার পুজো কাটবে আমার পাড়া বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজোয়। আসলে পুজো মানে আমার কাছে পরিবার-পরিজন, আমার ছেলে সহজকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠা। এবারে পুজো পরিক্রমাগুলিতে সহজকে নিয়ে যাব। ও ঠাকুর দেখতে, ঘুরতে খুবই ভালবাসে। পুজোর সময় আমি কোনওরকম ডায়েটিং করি না। তাই এইসময় সমস্তরকম খাবারই খাব। ভাল ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সবটাই করব। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেব। কোনও রেস্তরাঁতেও খেতে যেতে পারি। তবে এই সময় ভাল রেস্তরাঁয় টেবিল আগে থেকে বুক না থাকলে জায়গা পাওয়া মুশকিল। সেক্ষেত্রে খাবার অর্ডার দিয়ে আনিয়ে সকলে একসঙ্গে মিলে বসে খাব। অষ্টমীর অঞ্জলিটা শাড়ি পরে সহজকে নিয়ে পাড়াতেই দেব। অষ্টমীর ভোগ খাওয়ার অনেক জায়গায় নিমন্ত্রণ থাকে। ভোগটা খেতে ভালবাসি। তাই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভোগটা খাওয়া হয়েই যায়। পুজোর ইভেন্টসের আর পরিক্রমার শাড়ি পরলেও, আমি আমার ডিজাইনার বন্ধুবান্ধবদের থেকেও বেশ অনেকগুলি পোশাক কিনেছি। এইসময় সেগুলিও পরার চেষ্টা করব। তবে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় ক্যাজুয়াল পোশাক-আশাক পরব। ছোটবেলায় পুজোয় অতটা আনন্দ পেতাম না। কারণ বাবা-মা পাড়ার ক্লাবের পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আমি ঠিক বিষয়টা বুঝতে পারতাম না। তাই পাড়ার পুজোতেই সময় কাটত। খানিকটা বোরও ফিল করতাম। তবে এখন পুজোটা আমার কাছে তাই অনেক বেশি আনন্দের ছোটবেলার থেকেও।
[‘একটা বাচ্চা উট আমার ঝুলন্ত পা খেতে আসছিল!’]
সোহিনী সরকার (অভিনেত্রী)
আমার ছোটবেলার পুজো কেটেছে মফস্বলে। পঞ্চমী অবধি স্কুল থাকত। ষষ্ঠী, সপ্তমীর দিনও বাড়ির বড়দের কথামতো সকালে ঘণ্টাখানেক বই নিয়ে বসে পড়তাম। ছোটবেলায় পাড়ার পুজোতেই থাকতাম। ওখানেই সময় কাটত। একটু বড় হওয়ার পর বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এখানে-ওখানে ঘোরার অনুমতি পেয়েছিলাম বাড়ির থেকে। এ বছর পুজোয় সপ্তমী পর্যন্ত ব্যস্ত থাকব। পুজো পরিক্রমা/Judging-এর কাজ রয়েছে। অষ্টমী ও নবমী কলকাতার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। দশমীর দিন আবার শহরে ফিরব। আমি এমনিতেও সারা বছর ডায়েটিং করি না। তাই সারা বছর যে ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি পুজোতেও সেগুলোই খাব। পুজোয় আমি এথনিক পোশাক-আশাক পরতেই পছন্দ করি। তাই শাড়িটাই পরব। পুজোয় ‘ব্যোমকেশ গোত্র’ মুক্তি পাচ্ছে। সেই ছবির প্রোমোশনও থাকবে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও জানার চেষ্টা করব।
[পুজোয় সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টা মিস করেন ইন্দ্রাণী-ইমন-অপরাজিতা?]
পায়েল সরকার (অভিনেত্রী)
ছোটবেলায় পুজোর সময় স্কুলে ১০ থেকে ১৫ দিন পুজোর ছুটি থাকত। পুজো আসছে এই বিষয়টা তখন বেশ ভাল লাগত। কারণ পুজো এলেই চার-পাঁচদিন কেমন যেন দেখতে দেখতে চলে যেত। পাড়ায় পুজোর প্যান্ডেল হচ্ছে দেখতে খুব ভাল লাগত। আর বন্ধু-বান্ধবদের কার ক’টা পুজোর জামা হল জানার আগ্রহও ছিল খুব। ছোটবেলায় পাড়াতেই পুজো কাটাতাম। বাবা-মার সঙ্গে ঠাকুরও দেখতাম। তবে আমি এখনও ভিড়ে হেঁটে ঠাকুর দেখতে পারি না। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলাম তবে সেভাবে নয়। আর কলেজে পড়তে পড়তেই আমি অভিনয় জগতে চলে এসেছিলাম। পুজোর সময় আমি এমনিতেও খুব একটা কাজ রাখি না। এবারে পুজোয় কলকাতার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এখনও সেভাবে কিছু প্ল্যান করিনি। দু’-একটা ইভেন্টের কাজও রয়েছে। তবে বাইরে না গেলে কলকাতায় পুজো কাটাব। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা মারা, বাবা-মা-কে নিয়ে পুজোয় একদিন দুপুরে রেস্তরাঁয় লাঞ্চে যাওয়া এগুলি অবশ্যই করব। পুজোর সময় কেউই ডায়েটিং করে না। আমিও তাই সবরকমের খাবারই খাব। পুজোর সময় শাড়ি পরতেই ভালবাসি। ইভেন্টের কাজগুলিতে শাড়ি পরেই যাব। তবে বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় সালোয়ার, ক্যাজুয়াল পোশাকই পরব। তবে অষ্টমীর অঞ্জলিটা শাড়ি পরেই দেব। পুজোর জন্য আলাদা শপিং সেভাবে করি না। সারা বছরই কেনাকাটি করেই থাকি। তবে মা প্রতি বছর আমায় পুজোয় নতুন জামা-কাপড় দেন। আর পুজোয় অষ্টমীর ভোগটা অবশ্যই খাব। ওটা আমি খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
The post পুজোর চারদিন কীভাবে কাটাবেন প্রিয়াঙ্কা-সোহিনী-পায়েল? appeared first on Sangbad Pratidin.