কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন”। এই ব্রত নিয়েই আশ্বিনের শারদ প্রাতে মা দুর্গা ধরাধামে আসেন। বচ্ছরকার চারটে দিন ঘরের মেয়ে উমা হয়ে বাঙালির জীবনে থাকেন। যাবতীয় অশুভের নাশ করে শুভর প্রতিষ্ঠা করেন। করোনা (CoronaVirus) কালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতির দাবি মেনেই বাঙালির মেতেছে শারদোৎসবে (Durga Puja 2020)। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় ভিন্ন ভিন্ন থিমে গড়ে উঠেছে মায়ের মূর্তি। এমনই এক মূর্তি নজর কেড়েছে বহরমপুরের (Berhampore) মণ্ডপে। যেখানে মা দুর্গা বধ করেছেন ‘চিনাসুর’কে। যার মাথা আবার ড্রাগন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) আদলে তৈরি।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সেনার অনুপ্রবেশের ঘটনার পর থেকেই ড্রাগনের দেশের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। জোর গলায় জানিয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃ্ত্বাধীর সরকার। পরিস্থিতি এমন পর্যায় রয়েছে, শীতেও হাজার কষ্ট সহ্য করে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (LAC) পাহাড়ায় দণ্ডায়মান থাকবেন দেশের জওয়ানরা। যাতে চিনের অশুভ অভিসন্ধি চরিতার্থ না হতে দেওয়া যায়। সেনা জওয়ান এই আত্মত্যাগের কথা ভেবেই তৈরি খাগড়ার সৌদাবাদ সেবক সংঘের এই দুর্গা মূর্তি (Durga Idol)। একচালাতেই দেবী দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, কার্তিক এবং সরস্বতীর মূর্তি রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, চিনাসুরের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে দেবীর সিংহ। নিচে পড়ে রয়েছে সেই মুণ্ড। যা তৈরি করা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের মুখের আদলে।
[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় বন্ধ প্রতিমা দর্শন? ভ্রাম্যমাণ দুর্গাপুজোর আয়োজন করে তাক লাগালেন উদ্যোক্তারা]
ক্লাব কর্মকর্তারা জানান, মা দুর্গা অশুভ শক্তিকে বধ করেন। আর বর্তমান সময়ে সেই অশুভ শক্তির প্রতীক চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। বহরমপুরের স্বর্গধাম সেবক সংঘের সদস্যরা মনে করেন, চিনের চেয়ে অনেক শক্তিধর ভারত। তাছাড়া লাদাখ সীমান্তে যে ভাবে ভারতীয় সৈন্যরা কষ্টে রয়েছেন, যে ভাবে ভারতের সৈন্যদের হত্যা করেছে জিনপিংয়ের সেনা তাতে চিনা প্রেসিডেন্টকে অসুর বলাই শ্রেয় বলেই জানান ক্লাব সেক্রেটারি অভীক চৌধুরী। অন্যদিকে ক্লাবের বলিষ্ঠ সদস্য সুভাষ ধরের মতে, প্রত্যেক শিল্পীর স্বাধীনতা রয়েছে। সেই স্বাধীনতারই প্রতিফলন এই মূর্তি। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন মানুষ।
