সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশবাসীর দ্রুত টিকাকরণই লক্ষ্য কেন্দ্রের। আর সেই কারণেই ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের পাশাপাশি অন্যান্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করে দ্রুত টিকাকরণ অভিযানে সাফল্যই এখন পাখির চোখ। আর সেই লক্ষ্যেই এবার রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক ভি তৈরির অনুমতি দেওয়া হল সেরাম ইনস্টিটিউটকে (Serum Institute)।
সেরামের মুখপাত্র জানান, “আমরা স্পুটনিক ভি তৈরি প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছি। তবে টিকা উৎপাদনে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। ততদিন কোভিশিল্ড এবং কোভোভ্যাক্স তৈরিতেই আমরা মনোনিবেষ করব।” DGCI অর্থাৎ ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলারের দেওয়া এই সবুজ সংকেতের অর্থ আদর পুনাওয়ালার পুণের ইনস্টিটিউটে রুশ টিকার পরীক্ষা, বিশ্লেষণ হবে। তারপরই উৎপাদনের কাজ শুরু করা যাবে। কিন্তু সেরাম এই টিকা বিক্রি করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না জিন্স-টি শার্ট, কর্মীদের জন্য নয়া পোশাক বিধি চালু করল CBI]
ইতিমধ্যেই স্পুটনিক ভি ব্যবহারে ৬৫টিরও বেশি দেশকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে শুরু হয়েছে এর আমদানিও। যদিও এটি এখনও পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তরের সবুজ সংকেত পায়নি। তবে এই ভ্যাকসিন যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের চেয়ে বেশি কার্যকরী (৯১.৬ শতাংশ), সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ওই দুই ভ্যাকসিনের পাশাপাশি স্পুটনিক ভি (Sputnik V) দেওয়া শুরু করা গেলে ভারতে করোনার তাণ্ডব অনেকটাই রোখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এর পাশাপাশি সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন স্পুটনিক লাইট ব্যবহারের সম্মতির দিকেও তাকিয়ে রয়েছে দেশ।
এদিকে, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কঠোর ‘পলিসি বদলে’র জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকরকে ধন্যবাদ জানালেন সেরাম সিইও পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। আসলে ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুনাওয়ালার আশা, এতে ভারত এবং অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন তরান্বিত হবে।