সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে ফের উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত কিশোরের দুই বন্ধু দাবি করল, মত্ত অবস্থাতেই গাড়িটি চালাচ্ছিল সে। সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনেই বসেছিল তারা। দুজনের বয়ানই রেকর্ড করেছে পুণে পুলিশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছে সূত্র। কিশোরের দুই বন্ধুর আরও দাবি, সে নাকি ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিল। এর পরই দু’ কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল ওই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ২১ ও ২৪ বছর বয়সি দুই আইটি কর্মীর।
প্রসঙ্গত, ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল পুণের (Pune) কোরেগাও পার্কে। উলটো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে পোর্শে গাড়িটি। দুর্ঘটনার পরেই আটক করা হয়েছিল নাবালক গাড়িচালককে। যদিও মাত্র ১৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক বেনজির শর্তে ১৭ বছরের কিশোরকে জামিন দেয় জুভেনাইল আদালত। স্রেফ রচনা লিখে জামিন পেয়ে গিয়েছিল সে। তীব্র বিতর্কের মধ্যে সেই জামিন বাতিল হয়ে যায়। জুভেনাইল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৫ জুন পর্যন্ত নাবালকদের সংশোধনাগারে থাকবে অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ভোটের পর বিহারে ফের নীতীশের পাল্টি, ইঙ্গিত তেজস্বীর]
শুরু থেকেই এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে নানা বিতর্কের জন্ম হয়েছে। চালকের আসনে আদৌ ওই কিশোর ছিল না বলে দাবি করা হতে থাকে। প্রথমে তার বন্ধুরা জানিয়েছিল, সে মদ্যপ অবস্থাতেও গাড়ি চালাচ্ছিল না। কিন্তু এবার অন্য দাবি করতে দেখা গেল তাদের। যার ফলে এই বিতর্ক নয়া মোড় নিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত কিশোর যে মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল এই দাবি আগেও উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তেমনই বলেছিলেন। এমনকী, দুর্ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত জনতা কিশোর ও তার বন্ধুদের ঘিরে ধরেছিল বলেও জানা যায়। জনতার হাতে নাকি নির্যাতিতও হতে হয় অভিযুক্তকে।
এদিকে তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক কেউটে বেরতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, পোর্শে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনই ছিল না। বিতর্ক বাড়তেই গ্রেপ্তারি এড়াতে নাকি গোয়া পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিলেন নাবালকের বাবা ইমারত ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল। এমনকী তাঁর সঙ্গে মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ।