সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণেয় (Pune) বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি পোর্শের ধাক্কায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বাবাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই বাইক আরোহী আনিস অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোষ্টার। দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে আনিস ও অশ্বিনীকে। এর মধ্যে তদন্ত সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে গাড়ি দিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দিয়ে ‘খুন’ করা হয়েছে, সেই গাড়ির কোনও রেজিস্ট্রেশনই ছিল না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা ইমারত ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়ালকে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’টি বারের মালিককে। ঘটনার দিন ওই নাবালককে মদ সরবরাহ করা হয়েছিল ওই দুই বার থেকে। উল্লেখ্য, গতকালই একাধিক শর্তে ১৭ বছরের কিশোরকে জামিন দিয়েছে জুভেনাইল আদালত। সেই শর্তগুলি হল ১৫ দিন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে, মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নের পাঠ নিতে নেবে, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনাগ্রস্তের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং দুর্ঘটনা নিয়ে ৩০০ শব্দের রচনা বা নিবন্ধ লিখতে হবে।
[আরও পড়ুন: রাতভর উদ্দাম পার্টি, মাদকের নেশায় উল্লাস বিধায়ক-নায়িকাদের! চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে]
দুর্ঘটনার ১৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালত মুক্তি দেওয়ার পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত মার্চে গাড়িটি কেনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও রকম রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি। গাড়ির মালিক আরটিওতে এসেছিলেন, কিন্তু গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি না দেওয়ায় কোনও নম্বরপ্লেটও দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গাড়িটি মার্চ মাস থেকে রাস্তায় চলছিল। এই ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি সামনে এসেছে। একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে কর্নাটকে বিরোধী দল বিজেপি।
[আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিপুল টাকা ঘুষ, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার সিবিআই আধিকারিক]
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় তা উদযাপনে পোর্শে নিয়ে বেরিয়েছিল কিশোর। ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল সে। তাতেই মৃত্যু হয় দুই ইঞ্জিনিয়ার আনিস অবধিয়া এবং অশ্বিনী কোষ্টার। আনিস ও অশ্বিনীর পরিবার অবশ্য দাবি করেছে, দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে দুই তরুণ ও তরুণীকে।