সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্তি চিদম্বরম, নকুল নাথ, বৈভব গেহলটের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে আরও এক কংগ্রেস (Congress) নেতার ছেলে। কথা হচ্ছে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh) ছেলে রনিন্দর সিংয়ের। তাঁর দিকে আরও একবার নজর পড়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বিদেশে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে তাঁকে গতকাল তলব করেছিল ইডি। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে গতকাল ইডি দপ্তরে হাজিরা দেননি।
রনিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে বহু হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ ওঠে। সুইজারল্যান্ডের কোনও এক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো এবং ব্রিটেনের কিছু সংস্থায় বিনিয়োগের সময় তিনি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (FEMA) ভঙ্গ করেছেন বলে দাবি করেছে ইডি। সেসময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করেছিল আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু তারপর প্রায় বছর চারেক সেই মামলায় তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। সদ্যই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের দিকে ফের নজর পড়েছে ইডির। শুক্রবার তাঁকে জলন্ধরের ইডি দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই সমন উপেক্ষা করেছেন রনিন্দর সিং (Raninder Singh )। তাঁর আইনজীবী তথা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল জানিয়েছেন, রনিন্দর সুস্থ বোধ করছে না। তাই ইডি (ED) অফিসে হাজির হতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতারণা! আইনি বিপাকে ‘বাবা কা ধাবা’র বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্যকারী ইউটিউবার]
কংগ্রেসের অবশ্য অভিযোগ, ক্যাপ্টেন অমিরন্দর সিং কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন করায় ইডিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলছিলেন,”ইডির সমন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কন্ঠরোধ করতে পারবে না। শুধু ইডির সমন পাঠানোর সময়টা দেখুন। কেউ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগ আপনার পিছনে পড়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরম, কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ, অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটের মতো কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে । সেই তালিকায় নবতম সংযোজন রনিন্দর সিং। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি কোনও আইন ভঙ্গ করেননি।