সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানা কেড়ে নিয়েছিল চল্লিশজনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণ। তারপর থেকেই তিক্ততার চরমে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। একদিকে পাকিস্তানকে সবদিক থেকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত তো অন্যদিকে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পড়শি দেশ। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতে সংবাদের শিরোনামে উঠে এল একেবারে অন্যরকম একটা খবর। প্রেমের খবর। শনিবার পাকিস্তানি কন্যার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন পাঞ্জাবের এক ব্যক্তি।
হিন্দি ছবির পর্দায় এমন প্রেমকাহিনি একাধিকবার উঠে এসেছে। জারার জন্য বীরের ভালবাসা হোক কিংবা জোয়ার জন্য টাইগারের, হাজার প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রতিবারই জিতে গিয়েছে নিখাঁদ প্রেম। এবার দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত আবহেও বাস্তবের মাটিতে নজর কাড়ল এক প্রেমকাহিনি। সৌজন্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস।
[মানসিকতার বদল আনতে বসতি রাঙিয়ে দিচ্ছেন এই শিল্পী]
মিষ্টি প্রেমের গল্প শুরু ২০১৬ সালে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটের বাসিন্দা কিরণ চিমা (২৭)। সমঝোতা এক্সপ্রেসে চেপে লাহোর থেকে পাটিয়ালা যাচ্ছিলেন এক বিবাহ অনুষ্ঠানে। ট্রেনেই প্রথমবার সাক্ষাৎ হয় পলবিন্দর সিংয়ের (৩৩) সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীর হয় ভালবাসাও। ঠিক করে ফেলেন আম্বালায় চুপিসারেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকবেন শুধু ঘনিষ্ঠরা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। রাজি হয়ে যায় দুই পরিবারও। গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যে এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে করতেও ইতস্তত করছিলেন এই লাভ বার্ডস। তার উপর ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। আকাশপথেও যাতায়াত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে আরও পিছিয়ে যায় বিয়ে। শেষমেশ শনিবার এল সেই কাঙ্খিত দিন। সমঝোতা এক্সপ্রেসেই আম্বালা পৌঁছান কিরণ ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেখানেই এক গুরুদ্বারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। প্রতিকূলতা কাটিয়ে নতুন জীবনে পা রেখেছেন তাঁরা। এখন প্রার্থনা একটাই। যতদ্রুত সম্ভব দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল হোক। যাতে অবাধে যাতায়াত করতে পারে দুই রাষ্ট্রের দুই পরিবার।
[ছ’দশক ধরে মূক-বধিরের অভিনয়! সত্যি জেনে বিচ্ছেদের মামলা স্ত্রী’র]
The post সমঝোতা এক্সপ্রেসই গাঁথল একসূত্রে, পাক কন্যাকে বিয়ে ভারতীয় যুবকের appeared first on Sangbad Pratidin.