সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানো এবং তাদের যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত হলেন এক শিক্ষক। নির্যাতিতাদের সকলেরই বয়স দশের নিচে বলে জানা গিয়েছে। পাঞ্জাবের মোহালির একটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে পড়ুয়ারা অভিভাবকদের এই বিষয়ে জানাতেই শোরগোল পড়ে যায়। খবর যায় পুলিশেও। এর পরই স্কুল চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই শিক্ষককে। এক নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেছেন, ''আমার মেয়ে জানিয়েছে, ওই শিক্ষক সকলকে স্কুলের বেসমেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করতে থাকেন তিনি। এমনকী, তিনি ছাত্রীদের তাঁকে চুমু খেতেও বলেন। সেই সঙ্গেই ছোট ছোট মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও-ও দেখান। এই ঘটনায় বাচ্চারা মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।''
অভিযুক্ত শিক্ষক ওই স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর নাম আমনপ্রীত সিং। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারাও রয়েছে। এদিকে স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়ে দিয়েছেন, চাকরি থেকে এর মধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এবার আইন আইনের পথেই চলবে বলে দাবি তাঁর। সেই সঙ্গেই তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে 'জিরো টলারেন্স' নীতি মেনেই চলবেন তাঁরা।
যদিও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে নাকি বাঁচাতে চেয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবং অভিভাবকদেরও বলা হয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় স্কুলের নাম না নেওয়ার জন্য। যদিও পরে স্কুল চত্বরে জমায়েত হয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয় বলে দাবি অভিভাবকদের একাংশের।