সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মালদহের পর এবার পুরুলিয়া (Purulia)। স্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে মৃত অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার আদ্রা থানার শ্যামসুন্দরপুর এলাকায়। অঙ্গনওয়াড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম মণীন্দ্র চিত্রকর। বয়স ৯ বছর। পুরুলিয়ার আদ্রা থানার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা সে। নিয়মিত শ্যামসুন্দরপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেত ওই কিশোর। শুক্রবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিন সকাল ৭ টায় স্কুলে যায় সে। প্রতিদিনের মতো শুরু হয় খিচুড়ি রান্না। পড়াশোনা শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন পড়ুয়া স্কুল চত্বরে খেলাধুলো করছিল। তাদের মধ্যেই ছিল মণীন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি চত্বরেই রয়েছে শ্যামসুন্দরপুর প্রাথমিক স্কুল। জানা গিয়েছে, খেলতে খেলতে মণীন্দ্র স্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করে। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দেওয়াল।
[আরও পড়ুন: ‘ওকে খবর দিও, আমাকে শেষবার যেন দেখে যায়’, চিঠি লিখে আত্মঘাতী সাউথ পয়েন্টের ছাত্রী]
গুরুতর আহত হয় মণীন্দ্র। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের শৌচাগারের কেন এমন নড়বড়ে অবস্থা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিডিও রবিশংকর গুপ্তা যান ঘটনাস্থলে। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এবিষয়ে রঘুনাথপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অজয় গণপতি কুমার বলেন, “শিশুটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের পড়ুয়া বলেই প্রাথমিকভাবে জেনেছি।” তবে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক রীতেশ দিন্দা জানান, শিশুটি অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া বলে কোনও তথ্য তাঁর কাছে যায়নি। তবে কি দুর্ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে অঙ্গনওয়াড়ি? এটাই প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গতকালই কার্যত একই ঘটনা ঘটেছে মালদহে। মোথাবাড়ি এলাকায় স্কুলের শৌচাগারের ছাদ ভেঙে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল এলাকা। স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।