shono
Advertisement

Breaking News

‘ভোটে জেতার পর দেখতে পাইনি’, বিজেপি বিধায়ক-সাংসদের নামে ‘নিখোঁজ’পোস্টার পুরুলিয়ায়

'চোখে ঠুলি, তাই আমায় দেখতে পাচ্ছেন না', প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়করা।
Posted: 05:04 PM Jul 25, 2022Updated: 05:06 PM Jul 25, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বিধায়ক, সাংসদদের নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার ঘিরে শোরগোল পুরুলিয়ায়। এলাকার বিজেপি বিধায়কদের দেখা যায় না এলাকায়। এই মর্মে পুরুলিয়ার সাতুড়ি ও নিতুড়িয়া এলাকায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে লেখা রঘুনাথপুরের বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের নাম। যদিও এ নিয়ে রঘুনাথপুরের বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ির প্রতিক্রিয়া, ”যাদের চোখে ঠুলি পড়েছে, তাঁরা আমায় দেখতে পাবেন না।”

Advertisement

সোমবার সকালে রঘুনাথপুরের নিতুড়িয়া, সাঁতুড়িতে একাধিক নিখোঁজ পোস্টার মেলে। পাশাপাশি মুখ রঘুনাথপুরের বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি ও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের। তাতে বড় করে লেখা – নিখোঁজ। নিচে লেখা – ভোটে জেতার পর থেকে এলাকার মানুষ দেখতে পায়নি। পোস্টারের খবর পেয়ে বিজেপি বিধায়কের সাফ বক্তব্য, ”যাদের চোখে ঠুলি পড়েছে, তারা আমায় দেখতে পাবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। ছিদ্রান্বেষী মানুষজন ছিদ্র খুঁজে বেড়ান। রসগোল্লার মধ্যেও তাঁরা ছিদ্র খুঁজবেন।”

প্রসঙ্গত, পেশায় হাই কোর্টের আইনজীবী বিবেকানন্দবাবু বিধানসভায় ৩ টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য – ভূমি ও ভূমি সংস্কার, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, বিধায়ক (এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প)। তাঁর আদি বাড়ি রঘুনাথপুর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে, খাজুরা গ্রামে। বিধায়কের দাবি, যাতে এলাকার মানুষজনকে পরিষেবা দিতে পারেন, তাই শহরে চেলিয়ামা রোডে বারিকবাঁধে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাঁর কথায়, ”প্রতি মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখ কলকাতায় থাকতে হয়। হাই কোর্টেও ঠিকমতো যেতে পারেন না। রঘুনাথপুরের মানুষজনের জন্যই কাজ করি।”

[আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকলেও ভরতির প্রয়োজন নেই, জানাল AIIMS]

পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বাঁকুড়া সংসদীয় এলাকার অন্তর্গত। তাই সেখানকার সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধেও নিখোঁজ পোস্টার পড়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে নিখোঁজ পোস্টারের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করলেও উত্তর মেলেনি। তৃণমূলের তরফে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী কমিটির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া মন্তব্য, ”এমন পোস্টার পড়া স্বাভাবিক ঘটনা। রঘুনাথপুরে উনি প্রায় আসেন না। তাঁকে দেখা যায় না।”

[আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকলেও ভরতির প্রয়োজন নেই, জানাল AIIMS]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement