সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফের বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) অসন্তোষ? এবার শিরোনামে পুরুলিয়া। সূত্রের খবর, জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গাকে বদলের দাবিতে সরব দলেরই একাংশ। ইতিমধ্যেই জে পি নাড্ডাকেও নাকি এ বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন ‘বিদ্রোহী’রা। তবে চিঠির সত্যতা স্বীকার করেনি গেরুয়া শিবির।
২০১৩ সালে ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন বিবেক রাঙ্গা। দলে যোগের পর থেকে কেরিয়ার গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। যোগদানের মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পুরুলিয়া (Purulia) শহর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হন। সেই জায়গা থেকে একেবারে জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ভাল ফল করে বলেই খবর। তবে সমস্যা হল, মাহাতো এবং আদিবাসী জনজাতিতে ভরা পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি হিসাবে বিবেক রাঙ্গাকে নাকি মানতে পারছেন না অনেকেই। সূত্রের খবর, প্রাক্তন জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীও একেবারেই পছন্দ করেন না সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর ঘনিষ্ঠ বিবেককে।
[আরও পড়ুন: গভীররাত পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট! বাজার করার নাম করে স্বামী-সন্তান ফেলে উধাও রিষড়ার বধূ]
দলেরই একাংশের দাবি, অবিলম্বে জেলা বিজেপি সভাপতিকে বদল করতে হবে। জে পি নাড্ডার কাছে এই মর্মে নাকি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। যদিও অসন্তোষের বিষয়ে মুখে কুলুপ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতোর দাবি, এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। একই সুর খোদ জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গার গলাতেও। অসন্তোষের বিষয়টি অজানা বলেই দাবি তাঁর।
গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর থেকে বঙ্গ বিজেপিতে অসন্তোষ চরমে উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দলের একাংশের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের পুরুলিয়াতেও পদ্মশিবিরের অন্দরে অসন্তোষ। বিজেপির ‘গৃহদ্বন্দ্ব’ই যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের।