অভিরূপ দাস: মানিব্যাগে ‘মানি’ নেই। সব টাকা মোবাইলে! মুঠোফোনে ক্লিক করেই আমগেরস্ত দিচ্ছে পুজোর (Durga Puja) চাঁদা। চাঁদা তুলতে বাড়ি বাড়ি তাই ‘কিউআরকোড’ নিয়ে ঘুরছেন উদ্যোক্তারা। চাঁদার বিলের চেয়েও বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে ওটা।
দশ টাকার ফুচকা, হাফ পাউন্ড পাউরুটি কিনে গুগল পে-তে টাকা মেটানোর ছবি গা-সওয়া। এমনকী এক চিলতে আটারুটির দোকানের দেওয়ালেও টাঙানো থাকে কিউআরকোডের স্টিকার। এবার বারোয়ারি দুর্গোৎসবের চাঁদাতেও সে ছবি। দক্ষিণ কলকাতার পশ্চিম পুটিয়ারি পল্লি উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা কিউআরকোড নিয়ে ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি। ক্লাবের সম্পাদক শুভম চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘এখন আর মানিব্যাগে নগদ টাকা থাকে কই। সবারই হয় কার্ড নয়তো গুগল পে। আমাদের পুজো কমিটির পক্ষ থেকে তাই কিউআর কোড নিয়ে যাচ্ছি বাড়ি বাড়ি।’’
[আরও পড়ুন: সাতপাক ছাড়া হিন্দু বিবাহ অবৈধ, মন্তব্য এলাহাবাদ হাই কোর্টের]
এ ব্যবস্থায় মনমরা ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সম্পাদক শাশ্বত বসু। তিনি আবার নাম লেখাতে চান না এ ডিজিটাইজেশনে। হাতিবাগান সর্বজনীনের সম্পাদক জানিয়েছেন, পুজোর চাঁদা তো স্রেফ টাকা তোলা নয়। তা একরকম আত্মীয়তাও। পুজোর চাঁদা তুলতে গিয়ে পাড়ার একাধিক বাড়িতে দু’দণ্ড বসি। কুশল বিনিময় হয়। সেসব উঠে গিয়ে যদি দূর থেকেই সবাই চাঁদা পাঠিয়ে দেয় সেটা কি ঠিক হচ্ছে? কিন্তু এর সুবিধা অস্বীকার করছে না অনেকেই। এহেন পদ্ধতিতে খুচরো আদান প্রদানের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। সন্তোষপুরের বাসিন্দা আইটি প্রফেশনাল সৌম্যদীপ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, পুজোর চাঁদা দিতে হয়েছে পাঁচশো এক টাকা। এখন ওই এক টাকা খুচরো পাব কোথায়? এমনিই কেউ ছোট একটাকার কয়েন নিতে চায় না। মানিব্যাগে তাই রাখিও না। এর চেয়ে মোবাইলে কিউআরকোড স্ক্যান করে টাকা দেওয়ায় ঝঞ্ঝাট অনেক কম।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী মোদি’, তোপ কেজরিওয়ালের]
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের উদ্যোক্তারাও এবার বাড়িতে বাড়িতে কিউআরকোড নিয়ে ঘুরছেন। ক্লাবের সম্পাদক সুদীপ্ত কুমারের কথায়, আমাদের ক্লাবেও রাখা থাকছে কিউআরকোডের স্টিকার। চাঁদা শুধু নয়, পুজোর অনুদানও নেওয়া হচ্ছে ওই কায়দায়।