সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের (Covid) সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)। এবার সেই ব্যক্তিকেই দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ব্রিটেন (Britain)। বিমল পাণ্ডিয়া নামে এই ভারতীয় ব্যক্তির কথা জানতে পেরেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০১১ সালে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া হিসাবে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিমল। কিন্তু তিন বছর পরে ওই কলেজের অনুমতি বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। বিদেশি পড়ুয়াদের স্পনসর করতে পারবে না ওই কলেজ, এটাই জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই বিপাকে পড়েন বিমল। ব্রিটেনে থাকার অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা লড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ছোট হয়েও বড় কাজ! কম্পন থেকে বেঁচে নিজের জমানো অর্থ ত্রাণসাহায্যে দিল তুরস্কের নাবালক]
জানুয়ারি মাসেই সেই মামলার রায় বেরিয়েছে। বিমলকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেআইনিভাবে এতদিন ব্রিটেনে বসবাস করেছেন তিনি। আগামী ২৮ দিনের মধ্যেই ব্রিটেন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। তবে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন বিমল। কিন্তু মামলা লড়ার সামর্থ্য আর নেই তাঁর। দোকানের কর্মচারী হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।
২০২০ সালে কোভিডের সময়ও একটি দোকানেই কাজ করতেন বিমল। রোদারহাইটের ৫০টি দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে খাবারের জোগান দিয়েছেন তিনি। এই কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিমলকে চিঠি দিয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে, সেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না রোদারহাইটের স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তাঁর সমর্থনে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের সই করা একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। বিমলকে দেশে থাকতে দেওয়া হোক,সেটাই তাঁদের দাবি।