shono
Advertisement
R G Kar Hospital

RG Kar কাণ্ড: আন্দোলনকে সমর্থন, তবে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার আর্জি স্বাস্থ্যসচিবের

ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি প্রভাব ফেলছে চিকিৎসা পরিষেবায়। সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর, এমারজেন্সি বিভাগও প্রায় বন্ধ। তা চালু রাখতে তৎপর প্রশাসন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 02:14 PM Aug 13, 2024Updated: 05:04 PM Aug 13, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় ফেলেছে গোটা দেশেই। কর্তব্যরত অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি প্রভাব ফেলছে চিকিৎসা পরিষেবায়। সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর, এমারজেন্সি বিভাগও প্রায় বন্ধ। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে রোগীদের। এই অবস্থায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসচিব (Health Secretary) নারায়ণস্বরূপ নিগম মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি পরিষেবা চালু রাখার আবেদন জানালেন চিকিৎসকদের কাছে। তাঁর আবেদন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য সরকারি তৎপরতা রয়েছে। চিকিৎসকদের সমর্থন চাই।

Advertisement

এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন নারায়ণস্বরূপ নিগম। ঘটনা নিয়ে তাঁর দাবি, জঘন্য় ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর সরকার। এর পর তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি জারি রেখেছেন রাজ্যজুড়ে  বহু হাসপাতালে।  সিনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালগুলির আউটডোর এবং এমারজেন্সি বিভাগের চাপ সামলাচ্ছেন। আমরা রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি, কিছু কিছু হাসপাতালে  জরুরি বিভাগে (Emergency) যথাযথ পরিষেবা না পাওয়ার। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমাদের আবেদন, যেহেতু রাজ্য সরকার এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর এবং তার প্রমাণও ইতিমধ্যেই দিয়েছে, তাই চিকিৎসকরা যেন রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ বন্ধ না করেন।'' 

[আরও পড়ুন: আর জি কর মামলা: সন্দীপ ঘোষকে আড়ালের চেষ্টা কেন? ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]

এদিকে, এমন মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সরাসরি শামিল হলেন আর জি করের অধ্যাপকরা। মঙ্গলবার আন্দোলন মঞ্চে পৌঁছে যান তাঁরা। পাশাপাশি আর জি করের প্রাক্তনীরাও এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে এত সমর্থন সত্ত্বেও সিনিয়রদের আবেদন, ''আমরা এই ঘটনায় অসম্ভব কষ্ট পেয়েছি।  চাই, আর যেন কেউ এভাবে কাউকে হারাতে না হয়। সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু রোগীরা যেন কেউ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে না যান। তাহলে তো আমরাই অমানবিক হয়ে যাব। নিজেদের আন্দোলনের জন্য কোনও সহনাগরিকের যাতে সমস্যা না হয়, তা দেখার দায়িত্বও আমাদের।''

[আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, অনিশ্চিত ‘স্বাধীনতা সড়ক’-এর ভবিষ্যৎ, হতাশ নদিয়ার হৃদয়পুরবাসী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement