অর্ণব দাস, বারাকপুর: মেয়ের খুনিরা বুক চিতিয়ে হাসপাতালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির শেষে সোদপুর নাটাগড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন আর জি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা।
কর্মরত অবস্থায় তাঁর মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা পঞ্চাশ দিন পেরিয়েছে। নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চাওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল কলেজগুলির সুরক্ষা সুনিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবুও দিনকয়েক আগে কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদে সাগর দত্ত হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পিজিটিরা। এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে মৃতার বাবার মন্তব্যে।
তিনি জানান, "আমার মেয়ের সঙ্গে হওয়ার ঘটনার পরেও দু-তিনটি ঘটনা ঘটেছে। সাগরদত্তে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা খুবই দুঃখজনক। পড়াশোনার সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসা করে সরকারি পরিষেবা দেন। তাই তাদের নিরাপত্তা বিষয়টি সরকারের অবশ্যই দেখা উচিত। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা উচিত।" এদিনও দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। বলেন, "কিছু একটা হবে আশা করছি।" সমাজমাধ্যমে মেয়ের ছবি ছড়িয়ে পরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে সন্তানহারা বাবা বলেন, "যারা মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা এখনও বুক চিতিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই ঘোরাঘুরি করছে।" একইসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে তাঁর সংযোজন, "জুনিয়র ডাক্তাররা যে যুক্তিতে কর্মবিরতি করছে, সেটা কি অন্যায়? এটাই আমার প্রশ্ন। ন্যায়সঙ্গত কারণেই তাঁরা আন্দোলন করছেন। নিরাপত্তা না থাকার কারণেই তো আমার মেয়ের এইরকম পরিণতি হল। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে তারজন্যই তো ডাক্তারদের এই আন্দোলন।"