ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: যুবতী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় উত্তাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শুক্রবার মাঝরাত থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন এবং নার্সরা। দোষীর শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। এইসঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিতাড়ন চাইছেন তাঁরা।
গভীর রাতে আর জি করে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা ছড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে। কলকাতার হাসপাতালগুলি ছাড়াও বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদেও। স্বভাবতই প্রতিবাদে সোচ্চার হন মহিলা চিকিৎসক এবং নার্সরা। তাঁদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছেন। রাতে হাসপাতালে নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না বলে দাবি তাঁদের। অধিকাংশ হাসপাতালগুলির লাউঞ্জ এবং করিডরগুলিতে সিসিটিভি নেই। উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন আগে এসএসকেএম হাসপাতালে ৪১৮টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্য হাসপাতালগুলিতে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।
[আরও পড়ুন: দেহের পাশে অন্তর্বাস, জিনস! তরুণী ডাক্তারের দেহ উদ্ধারে তৈরি SIT, রুজু খুনের মামলা]
আর জি করের ঘটনায় শনিবার দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনকারীদের দেখা গিয়েছে। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এর মতো বামপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের বিক্ষোভকারীদেরও দেখা গিয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে কার্যত বাধাভাঙা আবেগ কাজ করছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিকিৎসক, ইন্টার্ন এবং নার্সরা একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। তদন্তের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পরেও তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। বিশেষত রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই বহিরাগতরা যেন প্রবেশ না করতে পারে। এছাড়াও তাঁরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বিতাড়ন করতে হবে। এই বিষয়ে ডান-বাম সমস্ত চিকিৎসক সংগঠন একমত। সকলের বক্তব্য, এই অধ্যক্ষ থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হবে না।