সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সকাল সকাল প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিনই কি হবে আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট? ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নই। শোনা যাচ্ছে, প্রশ্নমালা তৈরি করেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয় নিজেদের হেফাজতে নেয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হেফাজতে থাকাকালীন এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিয়ে সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সঞ্জয়। হাসপাতালে ঢোকার কারণ, হাসপাতালে ঢোকার সময়, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার কারণ নিয়েও নাকি সঞ্জয় বার বার বিভ্রান্ত করছে বলেই খবর। সে কারণে তার পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে মরিয়া সিবিআই। এই টেস্টেই সব রহস্যভেদ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: নজরে ছাত্র আন্দোলন, ২৭-এ ‘নিশ্ছিদ্র দুর্গ’ নবান্ন, নিরাপত্তার দায়িত্বে ৯৭ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা]
এদিকে রবিবার সকালে আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ১৫ টি দল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেয়। সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সিবিআই যায়। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পর বের হন সন্দীপ। ঘড়ির কাঁটায় ৮ টা বেজে ৬ মিনিট নাগাদ দরজা খোলেন। ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি আর জি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ ও আরেক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই।