সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন আর তিনি শুধু সেলিব্রিটি নন। রূপোলি পর্দার প্রিয় নায়িকা কিংবা ছোটপর্দার 'দিদি নং ১' পরিচয়েই আটকে নেই। এখন তিনি জনপ্রতিনিধি। হুগলিবাসীর সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরবেন সংসদে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে জিতে মঙ্গলবার লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন। আর সেখানেই বোঝা গেল, রচনা এখানেও সেলিব্রিটি! খোদ রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে আলাপ জমিয়ে সেলফি তুললেন। তা আবার নিজের সোশাল মিডিয়ার (Social Media) স্টোরিতে শেয়ার করেছেন রচনা। তাতে দেখা যাচ্ছে, লোকসভা কক্ষকে পিছনে রেখে হাসিমুখে সেলফি তুলেছেন রাহুল-রচনা। লোকসভার বিরোধী দলনেতার সহজ-সরল আচরণে বেশ খুশি রচনা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর কথায় এবারই প্রথম রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামানো হয়েছে। নিজের জনপ্রিয়তা আর মিষ্টি ব্যবহারে নিবিড় জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে রচনাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভরসাযোগ্য। মঙ্গলবার লোকসভায় (Lok Sabha) শপথ নেওয়া বাংলার ৪০ সাংসদের মধ্যে ছিলেন রচনাও। শপথ শেষে তিনি বিশেষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদে তিনি একেবারে নবীন। হুগলিবাসীর জন্য কাজ করতে চান আন্তরিকভাবে। অথচ তার জন্য সংসদীয় নিয়মকানুনও জানতে হবে। তাই প্রথমবার দিল্লি গিয়ে সেসবের পাঠ নিচ্ছেন হুগলির তারকা তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)।
[আরও পড়ুন: নিট-ইউজি প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের, পাটনা থেকে ধৃত ২]
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা হল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। প্রথম আলাপেই সোনিয়াপুত্রর সারল্য ভালো লেগেছে রচনার। তার পরই দেখা গেল দুজনে এক ফ্রেমে। রচনার সোশাল মিডিয়ার স্টোরিতে সেই ছবি দেখেই বোঝা গেল, একে অপরের বেশ গুণগ্রাহী। রাহুলের সঙ্গে আলাপ ও সেলফি (Selfie)নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তারকা সাংসদের বক্তব্য, তিনি নিজেই নিজের ছবি তুলছিলেন। রাহুলই প্রস্তাব দেন, রচনার ছবি তুলে দেবেন। এর পর অভিনেত্রীর ফোনটি নিয়ে তাঁর ছবি তোলার পাশাপাশি দুজনের সেলফিও তোলেন। এতবারের সাংসদ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা, সর্বোপরি গান্ধী পরিবারের ছেলের এমন সহজ-সরল আচরণে মুগ্ধ 'দিদি নং ১'। তবে এই ফটো-সেশনের মাঝে তিনি নিজের কাজ কিন্তু ভুলছেন না। বললেন, ''মন দিয়ে সব শিখে নিচ্ছি। নইলে হুগলিবাসীর জন্য যে কাজ করতে চাই, তা ঠিকমতো করতে পারব না।''