সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যে আদনি ইস্যুতে সক্রিয় হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg) রিপোর্টের সারবত্তা কতটা, খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে পুরো ঘটনায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে (SEBI) ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার একই ইস্যুতে সেবির উপর চাপ বাড়লেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। তিনি প্রশ্ন তুললেন, সেবি এখনও কেন আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) মরিশাস ভিত্তিক তহবিলগুলির প্রকৃত মালিকানা খুঁজে বার করতে পারল না? উল্লেখ্য, আদানিদের শেয়ারে লগ্নি করা মরিশাসের কিছু সংস্থা ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছিল। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়।
বিরোধীরা বারবার অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে গৌতম আদানির ঘনিষ্টতাই এই শিল্প গোষ্ঠীর উল্কা উত্থানের কারণ। এই প্রসঙ্গে রাজনের বক্তব্য, বেসরকারি পারিবারিক সংস্থাগুলির ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া উচিত নিশ্চয়ই। কিন্তু প্রতিযোগিতা যেন সকলের জন্য সমান থাকে। একটি নির্দিষ্ট শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক কখনই কাম্য নয়। রাজনের সাফ কথা, এই প্রবণতা দেশের জন্য ভাল নয়। যদিও নিজের বক্তব্যে আদানির নাম করেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যেন ‘সুপারি কিলার’, এবার দলীয় মুখপত্রে তীব্র আক্রমণ উদ্ধব শিবিরের]
বেসরকারি গোষ্ঠীগুলির উপরে নজরদারির নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর বলেন, সংস্থা পরিচালনায় নজরদারি প্রয়োজন নেই। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সরকার এবং শিল্পের মধ্যে অস্বচ্ছ যোগাযোগ কমানো নিয়েও সওয়াল করেন রাজন। পক্ষপাত নিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, সমস্ত সংস্থা যেন উপযুক্ত সুযোগ পায়। যোগাযোগ যেন উন্নতির কারণ না হয়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মোদিকে চিঠির পরই রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের]
আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সেবি যে তদন্ত করছে সেটা চলবে। তবে অনন্তকাল ধরে তদন্ত চালানো যাবে না। দু’মাসের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে তারা সেবির তদন্তে কোনওভাবেই নাক গলাবে না। বর্তমানে সেবির (SEBI) যে নিয়ম-কানুন আছে, সেগুলিকে আরও কীভাবে শক্তিশালী এবং কঠোর করা যায়, সে ব্যাপারে দিশা দেখাবে। প্রয়োজন হলে এই কমিটি বিভিন্ন সুপারিশও করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার উপরই জোর দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে আদানি ইস্যুতে ক্রমাগত অস্বস্তিতে কেন্দ্র।