সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্যত নীরবেই ভারতীয় দলের কোচের পদ ছাড়তে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের দিনই। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। ফাইনালের পর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল তাঁকে। স্পষ্ট জবাব তখনও মেলেনি। কিন্ত এবার শোনা যাচ্ছে, রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) আর ভারতীয় দলের কোচ থাকতে আগ্রহী নন।
এমনিতে বিশ্বকাপের পর গোটা সিনিয়র দলকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে গোটা কোচিং স্টাফকেও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আজ যে টি-২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনসিএ প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে (VVS Laxman)। অর্থাৎ দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার জন্য মাসখানেক সময় পেয়ে যাচ্ছে বিসিসিআই (BCCI)। শোনা যাচ্ছিল, এ নিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সঙ্গে আলোচনাও চেয়েছিলেন জয় শাহরা। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্রাবিড়ই নাকি আর আগ্রহী নন রোহিতদের কোচের পদে।
[আরও পড়ুন: করোনার পর এবার ‘রহস্যজনক’ নিউমোনিয়া! নয়া আতঙ্কে কাঁপছে চিন, সতর্ক করল WHO]
আসলে রোহিতদের (Rohit Sharma) হেডস্যর পরিবারকে আরও সময় দিতে চান। তাঁর ছেলে বড় হচ্ছে। সারাবছর বাড়ির বাইরে বাইরে আর কাটাতে চাইছেন না তিনি। ভারতীয় দলের কোচিং ছেড়ে দ্রাবিড় সম্ভবত বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে ফিরতে চাইবেন। সেটা না হলে আইপিএলের (IPL 2023) কোনও দলের কোচিং স্টাফে ঢুকে যেতে পারেন। তাতে অন্তত সারাবছর বাড়ির বাইরে থাকতে হবে না। যদিও বোর্ড কর্তারা আরও একবার দ্রাবিড়কে কোচের পদে থাকার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। অন্তত লাল বলের ক্রিকেটে রাহুলকে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। তাতেও অবশ্য ‘দ্য ওয়ালে’র রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্য, কেন্দ্র দুই সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধেই লড়াই চলছে’, সোশাল মিডিয়া পোস্ট কুণালের]
নিতান্তই দ্রাবিড় রাজি না হলে কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। দ্রাবিড়কে যেমন এনসিএ (NCA) থেকে তুলে এনে কোচের পদে বসানো হয়েছিল, লক্ষ্মণের ক্ষেত্রেও তেমন করা হতে পারে। তাছাড়া ভারতীয় দলের কোচের পদে লক্ষ্মণের হাতেখড়ি আগেই হয়ে গিয়েছে। দ্রাবিড়কে যখনই বিশ্রাম দেওয়া হয়, তখনই তাঁকে কোচের পদে অস্থায়ীভাবে আনা হয়। দ্রাবিড় শেষপর্যন্ত আগ্রহ না দেখালে লক্ষ্মণই স্থায়ী কোচ হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে। কোনও কোনও মহলে অবশ্য বীরেন্দ্র শেহওয়াগের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে এগিয়ে লক্ষণই।