সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার মধ্যপ্রদেশে দুই সেনা অফিসারকে মারধর এবং তাঁদের সঙ্গীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অস্তিত্বই নেই। এই ঘটনা গোটা সমাজকে লজ্জিত করার পক্ষে যথেষ্ঠ। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার তোপ, বিজেশি শাসিত ভারতে মহিলারা কোথাও সুরক্ষিত নয়।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জাম গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে। সাত-আট জন দুষ্কৃতী দুই সেনা অফিসার এবং তাঁদের বান্ধবীদের উপর চড়াও হয়। তারা সেনা অফিসারদের মারধর করে। বান্ধবীরাও নিগ্রহের শিকার হন। সকলের থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। এর পর পণবন্দি করে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা গোটা সমাজকে লজ্জিত করার পক্ষে যথেষ্ঠ। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আইনশৃঙ্খলার অস্তিত্ব বলে কিছু নেই। রাহুল আরও বলেন, "নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে বিজেপি সরকারের নেতিবাচক মনোভাব, এর জেরেই প্রতিদিন নারী নিগ্রহ বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।"
[আরও পড়ুন: নমাজ-আজানের সময়ে বন্ধ পুজো! হিন্দুদের ‘অনুরোধ’ বাংলাদেশ সরকারের]
রাহুলের বক্তব্য, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই দুষ্কৃতীদের সাহস বাড়ছে। ফলস্বরূপ মেয়েদের জন্য অসুরক্ষিত হয়ে উঠছে দেশ। এর ফলে নারী স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, "এমন ঘটনায় সমাজ ও সরকার উভয়েরই লজ্জিত হওয়া উচিত এবং গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করা উচিত। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের উপর, তারা আর কতদিন চোখ বুজে থাকবে!" অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, "প্রধানমন্ত্রী নারীর নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন... অথচ সারা দেশের মেয়েরা (নিগ্রহ রুখতে) একটি কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। কবে সেই অপেক্ষার অবসান হবে?" পরিসংখ্যান দিয়ে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, "দেশে প্রতিদিন ৮৬ জন নারী ধর্ষণ ও বর্বরতার শিকার হন। বাড়িতে হোক কিংবা বাইরে, রাস্তা থেকে অফিস, কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা শুধু অসুরিক্ষতই নয়, এমন বর্বরতার কারণে প্রতিদিন কোটি কোটি নারীর মনোবল ভেঙে পড়ছে।"