সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপর্যয় উপেক্ষা করেই ওয়ানড়ে হাজির লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা ওয়ানড়ের সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী। সঙ্গী বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রেন কোট গায়ে চাপিয়ে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে এলেন তাঁরা। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কথা বললেন দুর্গতদের সঙ্গে।
ওয়ানড়ে বিপর্যয়ের(Wayanad Landslide) পরদিন অর্থাৎ বুধবারই ওয়ানড়ে যাবেন বলে মনস্থ করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাওয়ার অনুমতি পাননি। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী বার্তা দেন, খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁদের পক্ষে ওয়ানড় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই তিনি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়ানড়বাসীর দুঃখ ভাগ করে নিতে হাজির হবেন। বুধবার কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবারই রাহুলরা যাবেন ওয়ানড়ে।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য-সিন্ধুদের হাত ধরে ব্যাডমিন্টনে পদকের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ভারত, স্বপ্নপূরণ করবে প্যারিস?]
সেইমতো বৃহস্পতিবারই ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে পৌঁছে যান তাঁরা। কংগ্রেসের (Congress) দুই শীর্ষ নেতা ক্ষতিগ্রস্ত চুরালমালা গ্রামে যান। বিপর্যয়ে ওয়ানড়ের যে চারটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি চুরালমালা। সেখানে পৌঁছে দু’জনেই বিপর্যস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। পায়ে হেঁটে পর্যবেক্ষণ করেন গোটা গ্রাম। ঘুরে দেখেন ত্রাণশিবির। কংগ্রেস সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও ত্রাণ বিলি এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, রাহুল ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়ানড়ের সাংসদ ছিলেন। ২০২৪ সালেও ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। কিন্তু মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি হাতে রাখার জন্য ওয়ানড়ের সাংসদ পদ ছাড়েন তিনি। ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
[আরও পড়ুন: বেআইনিভাবে ছবি ব্যবহার, অলিম্পিকে পদক জিতেই ২ ডজন সংস্থাকে আইনি নোটিস মনুর]
উল্লেখ্য, প্রকৃতির রুদ্ররোষে ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ওয়েনাড়ে (Wayanad) মঙ্গলবারের ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৭৬ জন। নিখোঁজের সংখ্যা দুশোর বেশি। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার জঙ্গলঘেরা গোটা চারেক গ্রাম কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।