বিক্রম রায়, কোচবিহার: প্রায় ১৪ বছর পর ফের কোচবিহারে এলেন কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সকালে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচিতে তিনি অসম থেকে বক্সিরহাট দিয়ে কোচবিহারে ঢুকেছেন। বক্সিরহাটেই সভায় তাঁর হাতে পোড়া মাটির মা দুর্গার মূর্তি তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে তোপ দাগেন রাহুল। অভিযোগ করেন, দেশজুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে আরএসএস ও বিজেপি। তবে ইন্ডিয়া জোটের শরিক তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁদের এই যাত্রা সম্পর্কে কেউ জানায়নি। আসনরফা নিয়েও কথা হয়নি। বাংলায় একাই লড়বে তৃণমূল। এদিন অবশ্য় এ বিষয় নিয়ে রাহুলকে কোনও মন্তব্য। করতে শোনা যায়নি।
এদিন রাহুলকে বাংলায় স্বাগত জানাতে অধীর ছাড়াও রাজ্য কংগ্রেসের অবজার্ভার আহমেদ মির-সহ একগুচ্ছ নেতা উপস্থিত রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে সিপিএম অংশ নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় জলপাইগুড়িতে রাহুল গান্ধীর আহারের স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি দুঘণ্টা পিছিয়ে যায় যাত্রার সময়। কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না জেলা নেতৃত্ব। বক্সিরহাটের কর্মসূচির পর রাহুল গান্ধী তুফানগঞ্জের চামটা এলাকায় জিগনিতলা ক্লাবের উলটো দিকে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য দাঁড়াবেন। আর সেখানেই রাহুল গান্ধীর খাবার জন্য তোর্সা নদীর সুস্বাদু বোরলি মাছের বিশেষ পদ থাকছে।
[আরও পড়ুন: ১৩ লক্ষ নতুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ৯ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা, পূর্ব বর্ধমানে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এছাড়াও খাবারের তালিকায় রয়েছে লুচি, সাদা রুটি, ছোলার ডাল, সাদা ভাত, ভেজ ডাল, চিকেন কষা, আলু ভাজা, স্যালাড, গন্ধরাজ লেবু। তার সঙ্গে ব্রকোলির বিশেষ একটি সুপ সেখানে তৈরি রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী আজ কোচবিহারে আসছেন। তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে বাংলার মানুষ খুবই উৎসাহিত।
এআইসিসি সদস্যা পিয়া রায়চৌধুরি বলেন, তুফানগঞ্জে দুপুরে খাবার পর রাহুল গান্ধী কোচবিহারের মা ভবানী চৌপথিতে পৌঁছবেন এবং সেখান থেকে তিনি কোচবিহার শহরে পথযাত্রা বের করবেন। রাজবাড়ির সামনে দিয়ে সেই পদযাত্রা খাগড়াবাড়িতে গিয়ে শেষ হবে। সেখান থেকে ফের নির্দিষ্ট বাসে করে তিনি ঘোকসাডাঙা হয়ে ফালাকাটা পৌঁছবেন। সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
যদিও গতকাল বক্সিরহাটে মঞ্চ তৈরি করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কথামতো মঞ্চ কিছুটা পিছিয়ে নিতে বাধ্য হয় কংগ্রেস।