সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আদানির চাপে পড়েই বিরোধী সাংসদদের ফোন ও ইমেল হ্যাক করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্র, শশী থারুর, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী-সহ বেশ কয়েকজন সাংসদের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেও এই ঘটনায় স্পিকারকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন মহুয়া। হ্যাকিংয়ের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, সরকারের ‘বন্ধু’ আদানিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলেই এই সাংসদদের নিশানা করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস সাংসদের সাফ দাবি, ফোনে নজরদারি চালালেও তাঁরা ভয় পান না।
মঙ্গলবার সকালেই একটি টুইট করে মহুয়া (Mohua Moitra) জানান, তাঁর ফোন ও ইমেল হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। সাংসদ বলেন, “অ্যাপেল থেকে আমার কাছে একটি নোটিফিকেশন এসেছে। সেখানেই সাফ বলা হয়, রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সংস্থাগুলো আমার আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কি কোনও কাজ নেই?” মহুয়ার টুইট থেকেই জানা যায়, শশী থারুর, অখিলেশ যাদব, রাঘব চাড্ডা, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী- সকলের ফোনেই নজরদারি চালাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: Mahua Moitra: ‘আমার ফোন, ইমেল হ্যাক করছে কেন্দ্র’, বিতর্কের মাঝেই বিস্ফোরক মহুয়া]
বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই সরাসরি আদানির দিকে আঙুল তোলেন। সাফ জানিয়ে দেন, আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন আদানি। তার পরে রয়েছেন মোদি-শাহরা। আদানির চাপেই সাংসদদের ফোন হ্যাক করা হচ্ছে। যারাই আদানির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বেছে বেছে তাদেরই ফোন, ইমেলে হ্যাকিং চলছে। তবে রাহুলের দাবি, দরকার পড়লে নিজেদের ফোন দিয়ে দেবেন। কিন্তু নজরদারি চালিয়ে কোনও লাভ হবে না।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছে তৃণমূল (TMC)। দলের তরফে বলা হয়, “অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে দেশে। এই ভারতকে আমরা চিনি না।” হ্যাকিং বিতর্কে মুখ খুলেছেন অখিলেশও (Akhilesh Yadav)। এদিন তাঁর ফোনেও ঢুকেছে হ্যাকিংয়ের চেষ্টার নোটিফিকেশন। সমাজবাদী পার্টির নেতা বলেন, গণতন্ত্রে এমন কাজের কোনও জায়গা নেই। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার কথা জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তবে সরকারের তরফে এই প্রসঙ্গে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।