অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ‘বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে’, শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে একথাই বললেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, “এই বাংলাতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিবেকানন্দের জন্ম। তাঁরা একসময় দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তাই আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।” কেন ন্যায় যাত্রা? এদিন তার ব্যাখ্যাও দিলেন রাহুল। এদিকে যাত্রা চলাকালীন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা জয়রাম রমেশের হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে যাত্রার সফলতা কামনা করলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার।
দিল্লি থেকে রবিবার সকালে রাহুল বাগডোগরা আসেন। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া এনএইচপিসি বাংলো। সেখানে তিনি গ্রিন স্যালাড, বার্গার, ভাত, চিকেন কাবাব, চিকেন কোরমা ও বড়া খেয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তার পর জলপাইগুড়ি চলে যান। সন্ধ্যে নাগাদ তিনি শিলিগুড়ি আসেন। থানা মোড় থেকে তার ন্যায় যাত্রা শুরু হয়। তবে যাত্রা উড়ালপুলে উঠতেই চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। রাহুল গান্ধীকে দেখতে রাস্তার দুধারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পুলিশ সামাল দিতে নাজেহাল হয়ে যায়। রাহুল গান্ধী সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। অনেকের থেকে ফুলের তোড়া নেন।
[আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার গোডাউন লক্ষ্য করে পর পর তিনটি বোমা, বিস্ফোরণে হাত উড়ল দুজনের]
সেখানেই রাহুল বলেন, “বাংলায় এসে যে অভ্যর্থনা পেলাম তাতে আমি আপ্লূত। এর আগে কোথাও এরকম ভিড় হয়নি। আর আমি জানি বাংলার মানুষ খুবই বিচক্ষণ হয়। স্বাধীনতার সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলাই পথ দেখিয়েছিল গোটা দেশকে। এবারও আপনাদের কাঁধে সেই দায়িত্ব রইল। আর আমি নিশ্চিত আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে যে দালালি করে তার সম্মান বেশি। আর দালালি না করতে পারলেই আপনি পিছিয়ে পড়লেন। দেশের যুবক-যুবতীরা লেখাপড়া করেও চাকরি পাচ্ছে না। গোটা দেশে দুই-চারজন উদ্যোগপতির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধেই ন্যায় যাত্রা করছি। আমি চাই দেশের সকলের একই সম্মান থাকুক। কেউ ছোট কেউ বড় তা আলাদা করে দেখা না হোক। আমাদের ভালোবাসার দেশে হিংসা তো বেড়েছেই, অন্যায়ও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাই প্রথমবার ভারত জোড়ো যাত্রা করলেও এবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করছি।”