সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'প্রাক্তন' হয়ে যাওয়ার জল্পনার মধ্যেই ফের গুরুত্ব বাড়ল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর! দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অধীরের বৈঠক ঘিরে ফের শুরু জল্পনা। বৃহস্পতিবার বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাহুল। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে দুজনের।
সূত্রের খবর, রাহুল অধীরকে বাংলায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলায় যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রাক্তন সাংসদকে। বহরমপুরে হারের জন্য অধীরকে সান্ত্বনাও দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। সূত্রের দাবি, অধীরকে নাকি রাহুল জানিয়েছেন, "লড়াইতে হার-জিত আছে। ভেঙে পড়লে চলে না।" পরে সংবাদমাধ্যমে অধীর মেনেও নেন, "রাহুলের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ইতিবাচক।"
[আরও পড়ুন: পাম অ্যাভিনিউয়ের নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরণী! প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সিদ্ধান্ত পুরসভার]
উল্লেখ্য, পাঁচবার টানা সাংসদ হওয়ার পর এ বছর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরেছেন অধীর। তার পর থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অধীর। এমনকী প্রদেশ সভাপতির পদে তিনি 'প্রাক্তন' হয়ে গিয়েছেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। দিন কয়েক আগে এআইসিসি দপ্তরে দলের পর্যালোচনা বৈঠকে দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করেন। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই হতাশা প্রকাশ করেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
[আরও পড়ুন: মেনুতে মৌরলা-ইলিশ, কুমড়ো ফুলের বড়া! ‘খাদ্যরসিক’ বুদ্ধবাবুকে স্মরণ পুরুলিয়ার পাচকের]
অধীরের অবস্থানে প্রদেশের অন্দরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এমনকী তিনি কংগ্রেস ছাড়তে পারেন, সেই জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। রাহুলের অধীর সাক্ষাতে সেই জল্পনায় সম্ভবত আপাত বিরাম পড়ল। সেই সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে আদৌ অধীরকে সরানো হচ্ছে নাকি সরানো হলেও কাকে বসানো হবে, সেই নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হল।