সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের স্কুলে দুই শিশুর যৌন হেনস্তার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ঘটনাতেও প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে ঠানের শহরটিতে। উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। এহেন পরিস্থিতিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, এই কুকীর্তি আড়াল করতেই প্রচুর চেষ্টা করা হয়েছিল।
গত ১৬ আগস্ট একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মীর। এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে জনতা। রেল রোকোর ডাক দিয়ে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে রেললাইনে বসে থাকা প্রতিবাদীদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের রোষে যুবক থেকে বৃদ্ধ! বাংলাদেশে ৩৭ বছর কারাবাসের পর ঘরে ফিরলেন শাহজাহান]
এহেন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেশরকর। তিনি বলেন, প্রতিবাদীদের অনেকেই রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানান, সিট গঠন করে তদন্ত হবে গোটা ঘটনার। তবে তদন্তে দেরির অভিযোগ তোলে বিরোধী শিবির। শোনা যায়, যে স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে সেই স্কুলের সঙ্গে বিজেপি নেতার যোগ রয়েছে। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ঘটনার বিশদ তদন্তের ভার নেয়।
তার মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। রায়বরেলির সাংসদের মতে, "বদলাপুরে দুই নিষ্পাপ শিশুর প্রতি অন্যায় হয়েছে। কিন্তু তাদের ন্যায়বিচার দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপটাই করা হল যখন আমজনতা পথে নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করলেন। এখন একটা এফআইআর দায়ের করার জন্যও পথে নেমে প্রতিবাদ করতে হবে? আসলে ন্যায়বিচার দেওয়ার চেয়েও বেশি চেষ্টা করা হয়েছিল গোটা ঘটনাটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।" লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, এফআইআর দায়ের না করে আসলে দোষীদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।