সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আজই তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য হাজিরা দিয়েছেন ইডি দপ্তরে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সংসদ চত্বর। আটক হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। আটক হওয়ার পর মোদি সরকারকে তোপ দেগে রাহুল বলেন, ”মোদি রাজা, পুলিশি রাষ্ট্র ভারত। আমাদের অবস্থান বিক্ষোভও করতে দেওয়া হয়নি।”
[আরও পড়ুন: শাশুড়িকে বেহুঁশ করে শ্বশুরবাড়িতে লুট, সঙ্গী প্রেমিক! বধূর কীর্তিতে শোরগোল বনগাঁয়]
এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ মা সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) ইডি দপ্তরে পৌঁছে দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে এদিন আগেভাগেই ইডি কার্যালয়ের আশেপাশে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী ছিল। সোনিয়া সেখানে ঢোকার পর সংসদে ফিরে আসেন রাহুল গান্ধী। সেখানে সাংসদদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। তাঁদের অভিযোগ, ইডির ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ একাধিক সাংসদের হাতে পোস্টার। তাতে স্পষ্ট লেখা – ইডির অপব্যবহার বন্ধ হোক।
সংসদ ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে মিছিল এগোতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। প্রাথমিক বাধা পেরনোর পরও পুলিশ আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিজয় চকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন রাহুল গান্ধীরা। অভিযোগ, তাতেও বাধা দেয় পুলিশ। পালটা কংগ্রেস সাংসদরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। জড়িয়ে পড়েন অধীর চৌধুরী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। রাহুল গান্ধীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এমনকী মহিলা সাংসদদেরও রেয়াত করা হয়নি। পুলিশ তাঁদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এদিন সংসদে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও বাধা দিয়েছিল পুলিশ। তা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।
দেখুন ভিডিও: