সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাঁটুর ব্যথায় কাবু হয়ে পড়ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটতে গিয়ে বেশ কয়েকবার হাঁটুর ব্যথা তাঁকে ভুগিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ানড়ের সাংসদ। তবে কষ্ট পেলেও সাধারণ মানুষের উৎসাহে এগিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। এমনকি, তাদের কথাতেই হাঁটুর ব্যথা কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কেরালা-পর্ব শেষ করে এবার কর্ণাটকে প্রবেশ করবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। তার আগে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনার সময়ে এই কথা প্রকাশ করেছেন রাহুল। সেই আলোচনার ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে রাহুল বলেছেন, “যখন আমি হাঁটছি, মাঝে মাঝেই হাঁটুতে খুব ব্যথা করছে। কিছু কিছু সময়ে ব্যথাটা প্রচণ্ড বেড়ে যাচ্ছে।” তবে সেই সময়েও না থেমে হেঁটে চলার জন্য তাঁকে প্রেরণা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষই। সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেছেন, “যখনই মনে হচ্ছে আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না, তখনই কেউ না কেউ এসে এমন কিছু বলছে, যাতে আমি কষ্ট ভুলে যাচ্ছি।” তারপরেই বিশেষ একটি ঘটনার উল্লেখ করেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম’ আজারবাইজানের হামলা রুখতে ‘খ্রিস্টান’ আর্মেনিয়াকে ‘পিনাক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত]
একটি মেয়ের কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেছেন, “যেমন কালকেই আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। সেই সময়েই হঠাৎ একজন মেয়ে এসে আমাকে একটা চিঠি দিল। সেখানে লেখা ছিল, কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও মানুষের একটু স্বস্তির দরকার হয়। তখনই আমার মনে হল, আমি তো এত কষ্ট পাচ্ছি, কিন্তু এই চিঠিটার মাধ্যমে আমার কষ্ট দূর হয়ে গেল।” তিনি আরও বলেছেন, যখনই তিনি সমস্যায় পড়েছেন, দলীয় কর্মীরা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। রাহুলের এই কথা শুনে দলীয় কর্মীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে রাজীব গান্ধী হত্যা প্রসঙ্গও। রাহুল বলেছেন, “আমার আশেপাশে এত হিংসার ঘটনা দেখেছি, তারপরে আর হিংসায় বিশ্বাস করতে পারি না আমি। আমার বাবা, ঠাকুমার মৃত্যু দেখেছি। সেইজন্যই যখন অন্য কাউকে কষ্টের মধ্যে দেখি, আমি নিজেও সেই কষ্ট উপলব্ধি করি।” প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিল কংগ্রেস। ১৫০ দিন পরে কাশ্মীরে এই যাত্রা শেষ হবে।
[আরও পড়ুন:তিন বাহিনীর হয়ে সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা, দায়িত্ব নিয়ে প্রতিজ্ঞা দেশের নতুন সেনা সর্বাধিনায়কের]