সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ডেরা' বলে বাংলায় একটি শব্দ আছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করতে অযোধ্যার রামমন্দিরকে 'ডেরা' বানিয়েছিল বিজেপি। সঙ্গীদের সাহায্য নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও নিজের ডেরায় পর্যুদস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। আগামী বছর গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় রাজনীতিতে এই গুজরাট বর্তমানে বিজেপির অন্যতম ঘাঁটি। এবার সিংহের ডেরায় ঢুকে সিংহ শিকারের হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। শনিবার আহমেদাবাদে এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে রাহুল বার্তা দিলেন, আমরা গুজরাটে বিজেপিকে এভাবেই হারাব যেভাবে অযোধ্যাতে হারিয়েছি।
আহমেদাবাদের সভায় রামমন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ''আমি সংসদে অযোধ্যার (ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্র) সাংসদকে প্রশ্ন করেছিলাম বিজেপি অযোধ্যাতে কেন হারলো? উনি বলেন, অযোধ্যায় সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষের দোকান-ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের নুন্যতম ক্ষতিপূরণটুকু দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামে কৃষকের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ আজও তারা ক্ষতিপূরণ পায়নি। এর কিছুর পর রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সেই অযোধ্যার মানুষকেই আমন্ত্রণ জানায়নি এরা। এর জেরেই সেখানকার মানুষ বিজেপিকে হারিয়েছে।''
[আরও পড়ুন: স্টার্মারকে ফোনে জয়ের অভিনন্দন মোদির, আমন্ত্রণ জানালেন ভারত সফরেরও]
এর পরই গুজরাটে কংগ্রেসের উপর শাসক বিজেপি সরকারের অত্যাচারের কথা তুলে ধরে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ''ওরা আমাদের দলীয় অফিস ভাঙছে। আমাদের নেতাদের হুমকি দিচ্ছে, তবে আমরা ভয় পাওয়ার লোক নই। আমি চ্যালেঞ্জ করছি এই গুজরাটে একজোট হয়ে আমরা নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে হারাব।" একইসঙ্গে তিনি জানান, ''অযোধ্যার সাংসদ আমায় আরও জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রথমে বারাণসীতে নয় অযোধ্যাতে নির্বাচন লড়তে চেয়েছিলেন তবে ৩ দফায় বিজেপি সার্ভে করে দেখে যে এখানে লড়লে নিশ্চিতভাবে ভোটে হারবেন মোদি। ওনার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে বারাণসীতে ফেরেন উনি। সেখানে কোনওমতে প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন।"
[আরও পড়ুন: বিদায় রোনাল্ডো, ইউরো মহাকাব্যে অন্তহীন পর্তুগিজ কিংবদন্তির বীরগাথা]
উল্লেখ্য, রাম মন্দিরের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গুজরাট। দীর্ঘ বছর ধরে বিজেপির সরকার চলছে এই রাজ্যে। অযোধ্যাতে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পর এবার গুজরাট থেকে বিজেপিকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির।