সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখিমপুর খেরি কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবারই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বের বেঞ্চে শুনানি হবে। এদিকে বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) পৌঁছলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি। সোমবার থেকেই সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তাঁকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমতি পাননি রাহুলও (Rahul Gandhi)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরে তাঁদের লখিমপুরে আসার অনুমতি দেয় যোগী প্রশাসন।
কেবল কংগ্রেসকেই নয়, সব দলকেই লখিমপুরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও প্রতিনিধি দলেই পাঁচজনের বেশি সদস্য থাকতে পারবে না। কেননা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এদিকে এদিন লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছে বাঘেল ও চান্নির তরফে ঘোষণা করা হয় তাঁদের রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিমানবন্দরে রাহুল ও তাঁর দুই সঙ্গীকে বেরোতে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের সরকারি গাড়ি দিতে চাইলেও তা নিতে অস্বীকার করেন রাহুল। পরে তাঁরা সীতাপুরে যান। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে অবশেষে লখিমপুর পৌঁছলেন কংগ্রেসের চার প্রতিনিধি। নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: লখিমপুর নিয়ে যোগীকে ফোন মোদির, রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি]
প্রসঙ্গত, রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর (Lakhimpur) খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। সার্বিকভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। ওইদিন রাতেই উত্তরপ্রদেশের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে লখিমপুরের আগে সীতাপুরে পুলিশ আটকায়। সেখানকার এক গেস্ট হাউসে আটক করা হয় তাঁকে। সেখানেই অনশন শুরু করে দেন। মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। লখিমপুরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি রাহুল গান্ধীকেও।
কিন্তু লখিমপুরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়ছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপরে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ও আরও তিনজনকে লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে লখিমপুরে এসে পৌঁছয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।