সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেন চললেও তাতে কি সবাই চড়ার সুযোগ পাবেন? এই মুহুর্তে আমজনতার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রেলের এক নতুন পদক্ষেপের জেরে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শহরতলির স্টেশনগুলির বিভিন্ন প্রবেশ ও নির্গমন পথ বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। প্লাটফর্মের উপরেই টিন ও রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশনে এই ঘিরে দেওয়ার কাজ চলছে। অবাধ প্রবেশাধিকার রুখতে এই পরিকল্পনা।
হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান, নূন্যতম সংখ্যায় যাত্রী স্টেশনে যাতে ঢুকতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে প্ল্যাটফর্ম ঘেরা হচ্ছে। ট্রেন চলাচল শুরু হলে যাতে যাত্রীদের ভিড় স্টেশনগুলিতে আছড়ে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে স্টেশনে একটি প্রবেশ পথ ও একটি নির্গমন পথ রাখা হচ্ছে। তার মানে সবাই যে প্রবেশাধিকার পাবে না তা স্পষ্ট। যদিও ইশাক খান বলেন, “প্রথমে কোন শ্রেণির যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াত করবেন তা বলবে রাজ্য। রাজ্য কম সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে তোলার নির্দেশ দিল, সেই মতো কাজ হবে। রোড সাইড স্টেশনগুলিতে আরপিএফ কম থাকে। দুটি গেট থাকলে তাঁরা ভিড় আটকাতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন : আমফান দুর্দশা কাটিয়ে দিক উৎসবের আলো, জঙ্গল এলাকার বাসিন্দাদের পুজোর উপহার দিল ‘শের’]
রেল রাজ্যের সঙ্গে বসে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনার বিষয়টি আলোচনার জন্য চিঠি দিলেও রাজ্য কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। পুজোর পরে আলোচনা হতে পারে। রেল এমন আশা করে নিজেদের তৈরি করে রাখছে। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “রাজ্য আলোচনার পর বিধিনিষেধ জারি করলে প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে। তাই আগেভাগে রেল প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। স্টেশনের বিভিন্ন পথ বন্ধ করা হচ্ছে।”
এছাড়া পুজোর সময় শহরতলির মানুষের ঢল নামে শহরের দিকে। রেলকর্মীদের জন্য হাওড়ায় ৫২টি ও শিয়ালদহে ১৩০টি ট্রেন চলছে। সেই ট্রেনগুলিতে যাতে অ-রেল কর্মীরা পুজোর দিনগুলিতে যাতে চড়তে না পারে সে জন্য পুজোর আগেই স্টেশন ঘেরা হচ্ছে। পুজো ও পরবর্তী সময়ে ট্রেন চললে কাজে লাগবে এই প্রক্রিয়া। আরপিএফ কর্মীরা পরীক্ষামূলকভাবে এনিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছে। কত সংখ্যক যাত্রী কীভাবে ঢুকবে ও বেরোবে, সামাজিক দূরত্ব রেখে স্টেশনে অপেক্ষা করবে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। কোভিড সতর্কতায় আরপিএফ কুকুরদের কাজে লাগানো হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব বজায়, থুথু না ফেলার আবেদনমূলক বাক্য লেখা পোস্টার পিঠে লাগিয়ে স্টেশনে ঘুরছে স্নিফার ডগ। তাদের মুখে রয়েছে মাস্কও।