সুমন করাতি, হুগলি: শনিবার সাত সকালে তারকেশ্বর রেল স্টেশন সংলগ্ন বসতিতে বুলডোজার চালল রেল কর্তৃপক্ষ। বসতি উচ্ছেদ ঘিরে কোনও গোলমাল যাতে না হয় সেই জন্য মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই উচ্ছেদের জেরে তাঁরা ঘরহীন হয়ে পড়লেন। বিকল্প ব্যবস্থার জন্য আরও কিছুদিন সময় দিলে ভালো হত।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর (Tarkeshwar) স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে। রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় এতদিন বসতি ছিল। এবার উচ্ছেদ করা হল। বাসিন্দাদের আগে থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। সেই নোটিস অনুসারে, ১২ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। তা শেষ হতেই আজ শনিবার সকালে অভিযানে নামে রেল।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানের, মথুরাপুরের আরেক পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির]
তবে বর্ষায় ঘরহারা হয়ে দিশেহারা অবস্থা বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, নোটিস দেওয়া হলেও বর্ষা পেরিয়ে এই উচ্ছেদ করার কথা রেলকে বলে তাঁরা। সেই দাবি মান্যতা পায়নি। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, এই বসতিতে উচ্ছেদ চালানো হলেও পাশের বসতি ও রেলের জায়গা দখল করে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বসতিবাসী মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা বলেন, "আমাদের কাছে বসতি খালি করার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সকাল হতেই রেল বুলডোজার নামিয়ে দেয়। কিন্তু এই বর্ষাতে অনেকেই ঘরহারা হয়ে পড়লেন। এটাতো আমাদের জায়গা না যে বসে থাকব। কিন্তু তিন মাস সময় দিলে কী হত? অনেকেই বাড়ি ভাড়া পায়নি। এখন বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবে? যারা জমি কিনেছে তারাও বাড়ি বানাতে পারেননি।" রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বসতির বাসিন্দাদের আগে থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ীই এই পদক্ষেপ। আগামিদিনে রেলের জায়গায় সমস্ত দখলই উচ্ছেদ করা হবে।