সুব্রত বিশ্বাস: করোনার মহামারীর মতো চরম পরিস্থিতিতে রেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দু’টি ভেন্টিলেটর পাঠাল ডাক বিভাগ। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আটশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রাণদায়ী মেশিনটি একেবারে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার রেকর্ড গড়ল দুই সরকারি সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে টেনে নিয়ে যায় নেপালি সেনা’, এখনও আতঙ্কে বিহারের সেই বাসিন্দা]
রেল সূত্রে খবর, নাগপুরের বাজাজনগর থেকে থানের মানসিক হাসপাতালে জোগান দেওয়া হয় ভেন্টিলেটর দু’টি। ১৩৪ কিলোগ্রাম ওজনের এই অতীব প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী। পশ্চিম রেল সূত্রে বলা হয়েছে, লকডাউনের কড়া নিয়মের মধ্যেও ডাক বিভাগের সঙ্গে তারা গাঁটছড়া বাঁধে। লাভের দিকটায় নজর দেওয়া হয়নি। শুধু দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োজন মেটাতেই এই বন্ধন ঘটানো হয়। ইন্ডিয়ান পোস্ট এই অর্ডার সংগ্রহ করে, রেল তা পার্সেল ভ্যানে পৌঁছে দেয়।
এদিকে, দিল্লি সরকারের হাতে প্রথম আইসোলেশন ট্রেনটি তুলে দেওয়ার পর রেলের কাছে এমন ট্রেন চাইল উত্তরপ্রদেশ সরকারও। তারা এই ধরণের ট্রেন চব্বিশটি স্টেশনে রাখবে। তেলেঙ্গানাও সেকেন্দ্রাবাদ, অদিলাবাদ ও কাঁচিগদা স্টেশনে রাখার জন্য তিনটি আইসোলেশন ট্রেন চেয়েছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৫২৩১টি কোচকে আইসলেশন কোচে রূপান্তরিত করেছে রেল। এক একটি কোচে ষোলো জন আক্রান্তকে রাখা যাবে। কোচের মধ্যে চারটি শৌচালয়ের দুটিকে বাথরুমে পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে স্নান করতে পারবেন আক্রান্তরা।
উল্লেখ্য, লকডাউনে গণ পরিবিহন বন্ধ থাকায় দেশজুড়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে রেল। করোনার ত্রাসকে সরিয়ে মানুষজনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল ‘অন্নপূর্ণা ট্রেন’। সড়ক পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় একাধিক রাজ্যের সীমান্তে থমকে রয়েছে বহু পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে খাদ্য বণ্টনে ভারসাম্য বজায় রাখার একমাত্র পথ রেল। এবার চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: মনমোহনের বাড়ির সামনে কোয়ারেন্টাইন নোটিস! প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা]
The post রেল-ডাক বিভাগ যুগলবন্দি, চব্বিশ ঘণ্টায় ৮০০ কিমি দূরের হাসপাতালে পৌঁছল ভেন্টিলেটর appeared first on Sangbad Pratidin.