সুব্রত বিশ্বাস: ভোরের ট্রেনে দিব্যি মশারি টাঙিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন যাত্রীরা। এমনই ছবি ধরা পড়েছে কাটোয়া লাইনে। সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। কড়া ব্যবস্থা হিসাবে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া লাইনে ভোরের ট্রেনগুলোতে এক শ্রেণির যাত্রীরা বাড়ি থেকেই নিয়ে আসেন মশারি। এর পর তা খাটিয়ে সিটেই শুয়ে যাত্রা করেন কেউ কেউ। সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয় হইচই। এই খবর নজরে আসে রেলের। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় আরপিএফকে। মশারি খাটিয়ে দেওয়া মানেই লোকাল ট্রেনে অন্যান্য যাত্রীদের অসুবিধা সৃষ্টি করা। এমনটাই মনে করছেন রেলের কর্তারা। সকল যাত্রীরাই যাতে স্বচ্ছন্দ্যে ট্রেনে যাত্রা করতে পারে সেটাই রেলের উদ্দেশ্য। কোনও কারণে যাত্রীদের অসুবিধা হওয়া মানেই রেলের আইনে তা বিপজ্জনক।
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে শ্রীরামপুরের জুটমিল, বছরের প্রথম দিনে মাথায় হাত শ্রমিকদের]
তাই এধরনের ঘটনা এবার বন্ধ করতে কঠোর হচ্ছে রেল। নতুন বছরের প্রথম দিনে এই বিষয়ে আরপিএফের আইজি জানিয়েছেন, ট্রেনে অন্য যাত্রীদের অসুবিধায় ফেলে কোনও আচরণ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। ট্রেনে যাত্রার সময় নিজের সুবিধা তৈরি করলে ওই যাত্রীকে রেলের আইন মেনে গ্রেপ্তার করা হবে। পদক্ষেপ করার জন্য বিশেষ গ্রুপ তৈরি করে ট্রেন তল্লাশিও চালাবে আরপিএফ। বিশেষত ভোর ও গভীর রাতের ট্রেনগুলোতে নজরদারি চালানো হবে।