সুব্রত বিশ্বাস: অবাধ ছাড় নয়। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের জন্য মুম্বইয়ের ধাঁচে লোকাল ট্রেন (Local Train) চলুক। এমনটাই চাইছেন পূর্ব রেলের কর্তাদের একাংশ। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং এর কথায়, রাজ্যে ইমারজেন্সি কাজে যুক্তদের ট্রেনে চড়ার জন্য কিছু সংখ্যক লোকাল চালানোর অনুমতি দিক রাজ্য। আনলক পর্যায়ে বহু কিছু খুলে গিয়েছে। যাতায়াতে মানুষ সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভর করছে। বহু মানুষ নিরুপায় হয়ে রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে চড়ছেন। এনিয়ে ধরপাকড়, ঝামেলা চলছেই। তবুও উঠছেন। পূর্ব রেলের জিএম রাজ্যকে আবেদনে কিছু ট্রেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য চালাতে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার কোনও উত্তর আসেনি।
[আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, হরিয়ানায় তরুণীকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন সংখ্যালঘু যুবকের]
রাজ্যের ইতিবাচক ভূমিকা ছাড়া লোকাল ট্রেন সাধারণের জন্য চালাতে পারবে না রেল। একথা স্পষ্ট করে জানালেও রেল কর্তাদের একাংশ চাইছেন, সবার জন্য নয়, ইমারজেন্সি কাজে যুক্তদের জন্য ট্রেন চলুক মুম্বইয়ের (Mumbai) ধাঁচে। এই মুহূর্তে শিয়ালদহে ১৩০টি ও হাওড়ায় ৫২টি শ্রমিক স্পেশ্যালল ট্রেন চলছে রেলকর্মীদের জন্য। সংখ্যাটাকে কিছুটা বাড়িয়ে কারা ট্রেনে চড়তে পারবেন এটা রাজ্য নির্ধারণ করে দিলে রেলের সমস্যা কিছুটা কমত। পাশাপাশি বহু ইমারজেন্সি কাজে যুক্ত মানুষ উপকৃত হতেন। রেলও নির্ধারিতদের বাইরে কেউ এলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চালানোর বহু দাবি নানা জায়গা থেকে উঠে এলেও রাজ্য সে দাবির সমর্থনে রেলকে ট্রেন চালানোর কোনও আবেদন করেনি। এমনকি রেল রাজ্যের অনুমতি সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ পায়নি। ফলে লোকাল ট্রেন চলেনি। পুজোর প্রেক্ষিতে করোনার সংক্রমণ কতটা প্রশস্ত তা অনুধাবন করে রাজ্য দীপাবলির আগে কোনও রকম ছাড়পত্র দেবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ডিআরএম এসপি সিং ট্রেনে অবাধ চলাচল চাইছেন না এই মুহূর্তে। তাঁর কথায়, সব লোকাল চালু হলে প্রত্যন্ত জেলাগুলোর মানুষজন সংক্রমিত হয়ে পড়তে পারেন। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক ট্রেনের অনুমতি দিলে মুম্বাইয়ের মানুষের মতো রাজ্যবাসীও উপকৃত হতেন। রেলও ঝামেলার মুখে পড়বে না। তবে সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যের উপর বলে রেলকর্তাদের মত।