সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে মানুষটার হাত ধরে হাঁটতে শেখা, যে মানুষটার ছায়ায় বেড়ে ওঠা, সেই মানুষটাই আর নেই। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হন ভরত দেববর্মা। সেই সময় শুধু রিয়া সেনই ছিলেন কলকাতায়। মুনমুন সেন ও রাইমা সেন (Raima Sen) ছিলেন দিল্লিতে। শহরে ফিরতে বেলা গড়িয়ে যায়। তাঁর ‘অরিজিনাল রকস্টার’ যে আর নেই, তা যেন এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না রাইমা। তাই তো মনের কথা লেখার কোনও শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না অভিনেত্রী।
বাবার ভরত দেববর্মার তিনটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রাইমা। দুটি ছবি সাদা-কালো, আরেকটিতে ছোট্ট রাইমাকে দেখা যাচ্ছে বাবার কোলে। নিজের এই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'এখনও কিছু লিখতে পারছি না বাবা... তুমি যে কী ভালো বাবা ও স্বামী ছিলে তা লেখার জন্য শব্দ কম পড়ে যায়। দেখা না হওয়া পর্যন্ত যেখানে আছো ভালো থেকো আর যেমন রাজার মতো বেঁচেছো, তেমনই থাকো। তোমায় খুব ভালোবাসি... খুব মিস করব।'
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান ভরত দেববর্মা। ১৯৭৮ সালে মুনমুন সেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এক বছরের মাথাতেই রাইমা সেনের জন্ম হয়। তার বছর দুই পরে মুনমুন-ভরতের জীবনে আসে রিয়া। বিয়ে ও দুই সন্তানের জন্মের পর মুনমুন নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন। আটের দশকের হার্টথ্রব হয়ে ওঠেন তিনি। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেন সুচিত্রাকন্যা। ২০১৪ সালে মুনমুন সেনের রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ে লোকসভা ভোটে জেতেন তারকা। সামলান বাঁকুড়ার সাংসদপদ। অভিনয় হোক বা রাজনৈতিক কেরিয়ার, বরাবর স্ত্রীর পাশে থেকেছেন ভরত দেববর্মা। রিয়া-রাইমার কাছে তিনি ‘বেস্ট ড্যাড’।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল ভরত দেববর্মার জন্মদিন। সেদিন বাবার একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাইমা সেন লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বাবা, তুমি আমাদের সমস্ত স্বপ্ন সত্যি করে তুলেছো। এখনও এত ফুরফুরে মনের মানুষ ও ভালোবাসায় পূর্ণ বাবা হয়ে থাকার জন্য থ্যাংক ইউ ড্যাড। তোমার এই রসিকতা ও হাসি অটুট থাকুক এই প্রার্থনা রইল।’ এর পরই বাবাকে ভালোবাসা জানিয়ে হ্যাশট্যাগ দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘বেস্ট ড্যাড এভার।’ বাবাকে ‘অরিজিনাল রকস্টার’-এর খেতাবও দিয়েছিলেন রাইমা। ‘ফাদার্স ডে’তেও বাবার একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন রাইমা। বাবাকে স্মরণ করে সোশাল মিডিয়ায় রিয়া যে পোস্ট শেয়ার করেছেন তাতে লেখা, 'রাজার মেয়ে।'