সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবমী (Nabami) নিশিকে বিদায় জানাতে মন চায় না কারও। শারদোৎসবের শেষ দিনে আনন্দের পারদ একেবারে তুঙ্গে থাকলেও, ঠিক পরমুহূর্তের কথা মনে করেই মনখারাপ হয়ে যায় অনেকের। এবার আবার সেই মনখারাপে অনুঘটকের মতো কাজ করছে দফায় দফায় বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে আবার কখনও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টি মাঝেমধ্যেই তাল কেটেছে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আনন্দের। শেষ দিনটিতে আবহাওয়া কেমন থাকে, সেই বুঝে ঘোরার পরিকল্পনা করতে হবে দর্শনার্থীদের। তাই সকাল থেকে উৎসবপ্রেমী মানুষজন চোখ রাখছেন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের দিকে। তবে সেখানেও আশার কথা বিশেষ কিছু নেই। জানা গিয়েছে, নবমীতেও ঘোরাফেরার আনন্দ মাটি করতে পারে বৃষ্টি।
তাল কাটা শুরু হয়েছিল ষষ্ঠীর (Shasthi) সন্ধে থেকে। কলকাতার বড় বড় মণ্ডপগুলি দেখবেন বলে যখন দর্শনার্থীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেসময়ই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। উত্তর ও মধ্য কলকাতার কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আনন্দ কার্যত মাটি হয়ে যায়। এরপর সপ্তমীর হালকা বৃষ্টি তেমন বাধা দিতে পারেনি মণ্ডপমুখী জনতাকে। ওইদিন নির্বিঘ্নেই পুজো দেখেছেন সকলে। অষ্টমীর বেলার দিকে ফের কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় অঞ্জলি। এছাড়া উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের মণ্ডপ ভেঙে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রাতের দিকেও চলছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি (Rain)।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবেও ব্যর্থ ‘অপারেশন লোটাস’, আস্থা ভোটে অনায়াস জয় ভগবন্ত মানের]
নবমীর সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। পরে সামান্য রোদের ঝলক দেখা গেলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। এই অবস্থায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অর্থাৎ নবমীতেও (Nabami) দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বারবারই জল ঢেলে দেবে শেষদিনের উৎসবের আনন্দে। বিশেষত উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য দুঃসংবাদ শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, দুই দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এদিন। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গে বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির আশঙ্কা।
[আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ছুটছে ভারতের জয়রথ, মালয়েশিয়াকে হারাল হরমনপ্রীতের দল]
পুজোর সময় আবহাওয়ার অল্পবিস্তর খামখেয়ালিপনা থাকে অল্পবিস্তর। তবে এবছর যেন তা একটু বেশিই। বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (Depression) ঘনীভূত হওয়ায় এত ঝড়বৃষ্টি। নিম্নচাপটি ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে সরে যাবে। যার প্রভাবে দুর্যোগের আশঙ্কা কাটবে। আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে দশমীর পর থেকে।