নব্যেন্দু হাজরা: পৌষের বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা (Bengal)। সঙ্গী হবে বজ্রবিদ্যুৎ। আর এই অকাল বর্ষণের জেরে শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। তাই পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
পূর্ব ভারতে দাপট দেখাচ্ছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। বঙ্গোপসাগর থেকে হু হু করে জলীয়বাষ্প ঢুকছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপটে আগামী বুধবার থেকে ফের বৃষ্টি নামবে। ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। পূর্বাভাস বলছে, ১১ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ১২ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: এ কী কাণ্ড! CNCI-এর অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদবীই ‘ভুলে’ গেলেন সঞ্চালিকা, তারপর…]
আর এই বৃষ্টিতে প্রভাব পড়বে চাষাবাদে। অকালবর্ষণে মাঠে থাকা ফসলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতি হতে পারে উদ্যানপালনেরও। এমনকী, বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমবে। ফলে পাহাড়ি রাস্তায় পর্যটকদের সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১১ তারিখের আগেই মাঠ থেকে ফসল তুলে নেওয়ার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
ডিসেম্বরের শেষে সেভাবে ঠাণ্ডা না পড়লেও বছরের গোড়াতেই জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা উপভোগ করছেন বঙ্গবাসী। উত্তরে তুষারপাতও হয়েছে। কিন্তু এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা চলবে আরও কয়েকদিন। ফের জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে, তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। ঝঞ্ঝা কাটলে ফের উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে শুরু করবে। তখনই ফের শীত পড়বে।