সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্তের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। খোঁজ নেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানেরও। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। রবিবার সিআরপিএফের আইজির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। প্রায় মিনিট চল্লিশের বৈঠকের পর নবান্নের কাছে তিনটি প্রশ্নও করল রাজভবন।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই বাকিবুর রহমান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং সম্প্রতি জ্যোতিপ্রিয় ‘ঘনিষ্ঠ’ শংকর আঢ্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। ধীরে ধীরে নানা তথ্যও সামনে আসছে। যা ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে জানিয়েছে ইডি। তবে রাজ্য সরকারের তরফে রেশন দুর্নীতিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রাজভবনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, শেখ শাহজাহান বাংলাতেই আছেন নাকি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া সেদিন সন্দেশখালিতে যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরও রাজভবনের তরফ থেকে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই তিনটি প্রশ্নের জবাব রিপোর্ট আকারে রাজভবনে জমা দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: দেশের অপমানে মালদ্বীপকে বয়কট! ‘অতিথি দেব ভব’ সংস্কৃতির পাঠ দিলেন ভারতীয় তারকারা]
রবিবার প্রায় ৪০ মিনিট সিআরপিএফের আইজির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশও করেন বোস। এর আগে গত শুক্রবার রাজভবনের তরফে সন্দেশখালি কাণ্ডে বিবৃতি জারি করা হয়। শেখ শাহজাহান কয়েকজন নেতা এবং পুলিশের মদতপুষ্ট বলেই উল্লেখ করা হয়। সে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি রাজভবনের। এছাড়া শাহজাহানের ‘জঙ্গিযোগে’র কথা উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। তার পরই রাজ্যপালের তিন প্রশ্ন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।