সুব্রত বিশ্বাস: অর্ধশতাব্দী ধরে পথ চলছে রাজধানী এক্সপ্রেস। দেখতে দেখতে পঞ্চাশ। জন্মদিন পালন করার আয়োজনও হয়েছিল চোখধাঁধানো। অথচ, পঞ্চাশতম জন্মদিনেই তাল কাটল। বর্ষপূর্তিতে জাঁকজমক অনুষ্ঠান তো হল। কিন্তু তার পরে হল ছন্দপতনও। যথাসময়ে ছাড়ল না ট্রেন। ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে এক যাত্রী চেন টানায় সঠিক সময়ে ছাড়ল না রাজধানী এক্সপ্রেস। ফলে পঞ্চাশতম বর্ষপূর্তিতেও এড়ানো গেল না বিতর্ক।
[এয়ার মার্শালের অবসর নিয়েও ভুয়ো খবর পাক সংবাদমাধ্যমে]
তবে এই বিতর্ক বাদ দিলে, রাজধানীর জন্মদিনটি পালন করা হল উৎসবের মেজাজে। এদিন কেক কেটে যাত্রা শুরু হয় কলকাতা-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের। পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটির যাত্রা শুরু করেন রাজধানীর প্রাক্তন ট্রেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুবোধচন্দ্র ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রাক্তন গার্ড শংকর দাস চট্টোপাধ্যায়, রাজধানীর প্রাক্তন ডেপুটি ট্রেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন, ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও এবং অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার সঞ্চয় সিং গেহলট-সহ অন্যান্যরা। কেক কাটার পাশাপাশি এদিন একটি শুভেচ্ছা সূচক স্ট্যাম্পও প্রকাশ করা হয়। যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও। প্রত্যেক যাত্রীকে উপহারও দেওয়া হয় বেশ কিছু। ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ট্রেনে কর্মরত সমস্ত কর্মী এদিন বিশেষ ব্যাজ পরে ছিলেন।
[অভিনন্দনের গোঁফ-দাড়ির স্টাইলে মজেছে দেশ]
রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয় ৩ মার্চ ১৯৬৯ সালে। সেসময় ট্রেনটিতে মাত্র ৯টি কামরা ছিল। পেরামবুরের একটি ফ্যাক্টরিতে কোচগুলি তৈরি হয়। ৯টি কামরার মধ্যে ৫টি ছিল এসি-চেয়ার কার। একটি এসি ডাইনিং কার এবং একটি ফার্স্ট ক্লাস কার। সময় এগিয়েছে, ক্রমশ আধুনিক হয়েছে রাজধানী। আজকের রাজধানী আর সেদিনের রাজধানীর আকাশ-পাতাল ফারাক। বর্তমানে দেশের সর্বাধিক সুবিধাযুক্ত ট্রেনগুলির মধ্যে একটি কলকাতা-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। সাধারণ যাত্রীদের দিল্লি যাত্রার অন্যতম ভরসা এই ট্রেনটি। কিন্তু, এহেন প্রথম সারির ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সম্প্রতি। সময়ে ছাড়ে না, সময়ে পৌঁছায় না এমন হাজারো অভিযোগ। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের দিনটিতেও তার ব্যতিক্রম হল না।