ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chattrejee) মা শিবানী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। নাকতলার বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শেষপর্যন্ত জীবনযুদ্ধ আর চালাতে পারলেন না। রবিবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই দুঃসংবাদ শুনেই দলের মহাসচিবের বাড়িতে ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যান সুব্রত বক্সিও। তবে সন্ধের দিকে সকলকে চমকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রাজনীতির বিভেদ ভুলে পুরনো ‘বন্ধু’র বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর জন্যই গিয়েছেন, এমনই বক্তব্য রাজীব ঘনিষ্ঠদের।
রবিবার বিকেলে বাড়িতেই প্রয়াত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা। স্বভাবতই এমন দিনে তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন দলের সহকর্মীরা। একে একে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সিরা।
এঁদেরই মাঝে খানিকটা বেমানান ভাবেই সন্ধেবেলা দেখা গেল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দৃশ্য ফের উসকে দিল নয়া জল্পনা। শনিবার ঠিক এমনই সময়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব। নিতান্তই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন দু’জনই। আর রবিসন্ধ্যায় রাজীব গেলেন পার্থর বাড়িতে।
[আরও পড়ুন: ভরদুপুরে খাস কলকাতায় চলল গুলি, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়]
মুকুল রায়ের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তৃণমূলে ফেরা কি সময়ের অপেক্ষা? রবিবারের সন্ধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেভাবে তাঁকে তৃণমূলের তাবড় নেতাদের পাশে দেখা গেল, তাতে এই জল্পনা আরও উসকে উঠেছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ত্যাগের আগে একাধিকবার নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই বাড়িতে আসতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও শুধু দু’জনে, আবার কখনও অভিষেক, প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে তাঁর ‘মানভঞ্জন’-এর পর্ব চলে। তবে লাভ হয়নি। দল ছেড়ে চলেই গিয়েছিলেন রাজীব। যদিও আজকের এই ঘটনায় রাজীবের এই বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে অন্য কোনও কিছুরই তুলনা করতে নারাজ ঘনিষ্ঠ মহলের একাংশ। তবে গুঞ্জন এড়ানো যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের শেষযাত্রায় শামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে কি রাজীবের সঙ্গে নেত্রীর সাক্ষাৎ হবে? এই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠছে।