বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা আরও জোরাল হয়। কানাঘুঁষো শুরু হয় অমিত শাহের পরবর্তী বঙ্গ সফরেই নাকি ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে পারেন তিনি। মঙ্গলবার রাজীববাবু মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিতি সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালে। এসবের মাঝেই রাজীববাবু সাফ জানালেন, কোনও জল্পনার মধ্যে তিনি নেই।
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার পরপরই চর্চা শুরু হয় মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় তাঁর অনুগামীদের পোস্টার। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দেন তিনি। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সকলের ধারণা তৈরি হয়েছিল, তৃণমূলের প্রতি রুষ্ট হয়ে দলবদলের সিদ্ধান্তও নিতে পারেন তিনি। অনেকেই ১৯ ডিসেম্বরের অমিত শাহের সভায় তাঁকেও দেখা যেতে পারে বলে মনে করেছিলেন। যদিও তেমনটা হয়নি। কিন্তু একাধিকবার ‘মানভঞ্জনে’ রাজীবের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজীব। হাজির ছিলেন না মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেবও। রাজ্যজুড়ে দলবদলের আবহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে একঝাঁক মন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় আইনজীবীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি! রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ]
যদিও জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার বিধানসভার ফুলমেলায় হাজির হন রাজীব। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দলের সঙ্গে আমার কোনওদিন কোনও বিরোধ ছিল না। কোনও জল্পনায় কান দিই না। ওসব জল্পনা-কল্পনার মাঝে আমি নেই। আমি বাস্তবে রয়েছি।”