সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ, কিন্তু দেশের জমিতে কুনজর দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এই ভাষাতেই সোমবার নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উল্লেখ্য, গালোয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্কে উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যে দিল্লির হাজার আপত্তির পরেও সীমান্ত এলাকায় ব্রিজ তৈরি অব্যাহত রেখেছে বেজিং। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষণে সেই উত্তেজনারই ছায়া পড়ল।
সোমবার উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে (Mussoorie) লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বক্তৃতা দেন রাজনাথ সিং। এদিন ছিল অসামরিক ও সামরিক আধিকারিকদের ২৮তম যৌথ প্রশিক্ষণ শিবির। সেখানেই রাজনাথ বলেন, “ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ, যুদ্ধ চায় না। কখনও কোনও দেশকে আক্রমণ করেনি। কারও এক ইঞ্চি জমি অধিগ্রহণ করেনি।” এরপরেই চিনের উদ্দেশে রাজনাথের বার্তা, “যদি কেউ আমাদের উপরে কুনজর দেয়, তবে ছেড়ে কথা বলা হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘পাঠানো সমস্ত অন্তর্বাস মোদিকে পাঠিয়ে দেব’, মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা]
রাজনাথের এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ। এইসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে বদল হয়েছে। এখন আর কোনও দেশকে সরাসরি ‘যুদ্ধবাজ’ বো ‘শান্তিকামী’ রাষ্ট্র বলে তকমা দেওয়া যায় না। যুদ্ধ ও শান্তির বিষয়ে পরিস্থিতির বিচারে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আরও বলেন, গত কয়েক দশকে দেশগুলির মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ কমলেও অব্যাহত রয়েছে ‘ছায়া যুদ্ধ’।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর একাধিক বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে। যদিও সেই অর্থে উত্তেজনা প্রশমন হয়নি। ভারতের দাবি, মৌখিক আশ্বাস দিলেও চিন আপত্তিকর কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে সীমান্ত এলাকায়।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের গণধর্ষণ পূর্বপরিকল্পিত, অভিযুক্তদের কাছে ছিল কন্ডোম, জানাল পুুলিশ]
এর মধ্যে হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে চিন। চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন (Wang Wenbin) বলেছেন, চিন সবসময়ই বিভিন্ন সভ্যতা ও ধর্মের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার কথা বলে। ওয়াং বলেন, অহংকার ও কুসংস্কার পরিত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য কাজ করা উচিত আমাদের। পক্ষান্তরে ভারতের ধর্মীয় অশান্তির প্রসঙ্গ টেনে দিল্লিকে কটাক্ষ করেছে চিন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।