সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী সবচেয়ে বড় শত্রু হলে গৃহকর্তার 'মাথাব্যথা' ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। পাকিস্তানকে 'মাথায়' নিয়ে ভারতের অবস্থা অনেকটা এমনই। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির কুকীর্তির নমুনা কম নেই। এদিকে দীর্ঘ বছর ধরে আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান আর্থিক সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে আইএমএফের কাছে। অবশ্য 'ভিক্ষা' সেখানেও মেলেনি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানালেন, আইএমএফের চেয়েও বেশি টাকা পাকিস্তানকে দিতে পারত ভারত, যদি পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখত।
জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোয়ার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পাকিস্তানকে রীতিমতো কটাক্ষ করেন রাজনাথ সিং। বলেন, 'আজ পর্যন্ত পাকিস্তান যত বৈদেশিক সাহায্য পেয়েছে, তার সবটাই অপব্যবহার করেছে ওরা। ভারতের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে যদি ওরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখত সেক্ষেত্রে আইএমএফের কাছে ওরা যত টাকা সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে তার চেয়ে বেশি টাকা দিতাম আমরা।' একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ প্যাকেজের কথা তুলে ধরে বলেন, '২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই টাকার অঙ্ক বর্তমানে ৯০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আজ পাকিস্তান আইএমফের কাছে যে টাকার দাবি জানিয়েছে, এই টাকা তার চেয়ে অনেক বেশি।'
এর পরই আক্ষেপের সুরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা তুলে ধরে বলেন, "আমাদের অটলজি বলেছিলেন আমরা বন্ধু বদলাতে পারি কিন্তু প্রতিবেশী নয়। আমি পাকিস্তানকে প্রশ্ন করতে চাই কেন আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এতটা খারাপ জায়গায় গিয়েছে। আমরা চাই না আমাদের কোনও প্রতিবেশী কষ্টে থাকুক। যদি আপনারা আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতেন তাহলে আজকের দিনে নিঃশর্তভাবে এমনিই এই আর্থিক সাহায্য আপনাদের করতাম।"
পাকিস্তানের অতীত স্মরণ করিয়ে রাজনাথ আরও বলেন, "পাকিস্তান হল এমন একটা দেশ যারা নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসের কারখানা খুলেছে। আজ ওদের চরিত্র গোটা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। কাশ্মীর ঘাঁটি অশান্ত করার যথা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ওরা। এখানে যখনই কোনও সান্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হয়েছে দেখা গিয়েছে তার পিছনে পাকিস্তানের হাত। ভারতে যখনই যে সরকার এসেছে, সে ওদের বলেছে এই সন্ত্রাসের কারখানা বন্ধ করতে, তবে কোনও লাভ হয়নি। এখন ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ায় ওরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই চেষ্টায় আছে কীভাবে এখানে সন্ত্রাসকে পুনর্জীবিত করা যায়।