সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলিবাবার গল্পে মর্জিনার বুদ্ধি আর সাহসিকতায় চল্লিশ চোর শায়েস্তা হয়েছিল। এখানে অবশ্য চোরের সংখ্যা চল্লিশ হাজার নয়। হতে পারে চল্লিশ লাখ, এমনকী চল্লিশ কোটি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই অপরাধীরা ছড়িয়ে গোটা বিশ্বে। মূলত ইন্টারনেটকে (Internet) কাজে লাগিয়েই ব্যাংক জালিয়াতি (Bank Fraud) করে থাকে। রোজকার খবরের কাগজে এদের কাণ্ড পড়ি আমরা। গ্রাহককে বোকা বানিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফর্সা করে দেয়। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। প্রকাশ করা হল একটি বুকলেট। যেখানে কমিকসের মাধ্যমে ৪০টি প্রতারণার গল্প বলা হয়েছে, যাতে করে সেগুলি পড়ে গ্রাহকেরা আগেভাগে সচেতন হন।
বুকলেটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজু ও চল্লিশ চোর’। আসলে মোট চল্লিশ রকমের প্রতারণার গল্প তুলে ধরা হয়েছে বইতে। আরবিআই জানিয়েছে, মূলত স্কুল পড়ুয়া, সদ্য তরুণ ও প্রবীণ ব্যক্তিদের ব্যাংক জালিয়াতির বিষয়ে সচেতন করতেই ‘রাজু ও চল্লিশ চোর’-এর ভাবনা। বিখ্যাত টিঙ্কল কমিকসের সুপন্দি চরিত্রের আদলে রাজুকে তৈরি করা হয়েছে। বোকাসোকা রাজুকে কেন্দ্র করে ঘটা ৪০টি গল্পের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, ব্যাংকের একজন গ্রাহক কী কী ভাবে প্রতারিত হতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘পাকা রাস্তা, পানীয় জল চাই’, আরজি জানাতেই যুবককে চড় কংগ্রেস বিধায়কের]
৪০টি গল্পে কখনও সিম কার্ড আপগ্রেড করার নামে, কখনও আধার কার্ডের তথ্য জেনে গ্রাহককে সর্বস্বান্ত করে প্রতারক। কখনও কখনও সিম কার্ড ক্লোনিং করে হয় জালিয়াতি। কখনও বা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া অফার পেয়ে (যেমন ৫০ শতাংশ দামে স্মার্টফোন), সেই লিঙ্কে ক্লিক করে জালিয়াতদের ফাঁদে পড়েন নিরীহ গ্রাহক। ছবি ও সংলাপে এমনই সব গল্প রয়েছে ‘রাজু ও চল্লিশ চোরে’।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে শেষ হতে দেওয়া যায় না, যত দিন দেশ থাকবে, কংগ্রেস থাকবে: প্রশান্ত কিশোর]
উল্লেখ্য, আরবিআইয়ের ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে সিম কার্ড ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত ৫৩৫ কোটি টাকা হারিয়েছেন দেশের অসংখ্য নিরীহ গ্রাহক। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বার্তা, যাতে করে ‘চিচিং ফাঁক বলে’ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও সম্পত্তি হাতিয়ে না নেয় ‘চল্লিশ চোর’, তা নিশ্চিত করতে ‘রাজু ও চল্লিশ চোর’ পড়ুন।